বেটিং কেলেঙ্কারির তদন্তে সাকিব আল হাসানের বোনের নাম

|

প্রায় দুদশকের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের শিরোনামও হয়েছেন। তবে এবার নিজের কারণে নয় দেশসেরা অলরাউন্ডার সমালোচনার মুখে পড়েছেন বোনের কর্মকাণ্ডে। এক বেটিং অ্যাপ মামলার তদন্তে দেখা গেছে সাকিবের বোনের নাম। তিনি ওই অ্যাপের মালিকদের একজন বলে প্রাথমিক তদন্তসূত্রে তার নাম উঠে এসেছে। সাকিবের বোনের নাম জান্নাতুল হাসান।

ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) বরাতে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। মহাদেব বেটিং অ্যাপ নামক একটি অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয় বলেও জানায় গণমাধ্যমটি। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয় ভারতের আদালতে। তদন্ত শুরু হলে বেরিয়ে আসে অনেকের নাম যেখানে দেখা যায় তালিকায় রয়েছে সাকিবের বোনের নামও।

তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে দুই ব্যবসায়ী গিরিশ তালরেজা ও সুরুজ চোখানির নাম। তারা যুক্ত ছিলেন মহাদেব বেটিং কোম্পানির সঙ্গে। এরপরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সুরুজ বাংলাদেশে ‘11wicket.com’ নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ শুরু করেন। এই সুরুজই মূলত প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন সাকিব আল হাসানের বোনের নাম। তার দাবি, সেই বিনিয়োগেই বড় অংশীদারিত্ব ছিল টাইগার অলরাউন্ডারের বোন জান্নাতুল হাসানের।

মহাদেব অ্যাপ হচ্ছে অনলাইনে একটি অবৈধ বেটিং প্ল্যাটফর্ম যাকে ঘিরে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। এখানে পোকার, তাস, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, টেনিসসহ অনেক খেলায় বাজি ধরা হয়। ভারতের ছত্তিশগড়ের দুই বাসিন্দা সৌরভ চন্দ্রশেখর ও রবি উপ্পল প্ল্যাটফর্মটি পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রবি উপ্পলকে দুবাইয়ে আটক করা হয়েছে। মহাদেব অ্যাপটি প্রতিদিনই প্রায় ২০০ কোটি রুপি আয় করে বলে জানাচ্ছে ইন্ডিয়া টুডে।

উল্লেখ্য, এর আগে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানোয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের পোস্টার বয়। দুবছর আগেও একটি বেটিং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য বিসিবির চাপে সেখান থেকে সরে আসেন সাকিব। বেরিয়ে আসার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়ে এর প্রচারণাও করেছিলেন সাকিব।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply