প্রতিটা গান কিম্বা কবিতার পেছনে থাকে গীতিকার বা কবির নিজস্ব গল্প। কখনো এক গানকে ঘিরে থাকে অসংখ্য গল্পের সমাহার। প্রয়াত সঙ্গীত কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর লেখা ‘সেই তুমি…’ গানটির পেছনেও আছে তেমন গল্প।
মালিবাগের একটি বাড়িতে বসে এই গান লিখেছিলেন বাচ্চু। আজ ২৫ বছর পরেও ‘সেই তুমি’ সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়।
গানটি লেখার পেছনের গল্প বছর দুয়েক আগে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।
তিনি জানান, ১৯৯৩ সালে মালিবাগের একটি বাড়িতে বসে এই গানটি লিখেছিলেন বাচ্চু নিজেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা, টানা বসে লিখে শেষ করেছিলেন।
বাচ্চু বলেন, ‘দিনক্ষণ ঠিক মনে নেই। তবে ১৯৯৩ সালের কোনো একদিন হবে। আমি তখন পশ্চিম মালিবাগে থাকতাম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক বসাতেই গানটির সৃষ্টি। আমারই লেখা। আমারই সুর করা। আমারই গাওয়া। এক লাইন লিখি আর গিটারে সুর করি। এভাবে গানটা তৈরি হয়। অবশ্য গানটি রেকর্ড করতে অনেক সময় লেগেছে। সংগীত আয়োজনে সময় লেগেছে দুই দিন। কণ্ঠ দিতে বেশি সময় লাগেনি।’
অল্পতেই গানটি তৈরির গল্প বলে ফেললেও সেই গানের প্রভাব কিন্তু অল্পতেই শেষ হয়ে যায়নি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নাড়া দিয়ে চলেছে শ্রোতাদের মন। মানুষ আজও নিজেদেরকে খুঁজে পাচ্ছেন গানটিতে। লেখার সময় নিশ্চয়ই আইয়ুব বাচ্চু ভাবেননি এই গানটিই হয়ে উঠতে পারে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পকর্ম।
Leave a reply