পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে অতিষ্ট জনজীবন। এরইমধ্যে আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার দিবস। ভোক্তার অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ এবং এ সংক্রান্ত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পৃথক তিনটি আইন আছে। দেশে আছে এ সংক্রান্ত তিনটি সরকারি সংস্থা।
কিন্তু বর্তমান বাজার চিত্রই বলে দেয়, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় এসব আইন কতটুকু ভূমিকা রাখছে। ওজনে কম, পণ্যে ভেজালের মতো ঘটনা এখন নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোক্তার অধিকার সুরক্ষিত না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর অতিরিক্ত মুনাফা করে যাচ্ছে। রমজান, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের আগে পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
প্রতারিত হয়ে গত এক বছরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে তিরিশ হাজারের বেশি মানুষ মামলা করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যথাযথ প্রয়োগের ব্যর্থতায় এসব আইন ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে পারছেন না। দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চলে, এতে সাময়িক স্বস্তি আসে। কিন্তু সমস্যা থেকেই যায়। আইন যুগোপযোগী করার পরামর্শ দিলেন কনজ্যুমার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক।
ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সহযোগীতা প্রয়োজন বলে মত দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
/এমএন
Leave a reply