‘নেতাদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের অনুমতি স্থগিত’

|

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গোড়াতেই গলদ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও জানিয়েছেন, জোটের নেতাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সেখানে তাদের সমাবেশের অনুমতি স্থগিত করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকালে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ব্রিজের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মওদুদ আহমদের গলার জোর ছাড়া কিছু নেই। তার চাপাবাজি ছাড়া আর কিছু নেই। রাস্তায় জনগণকে ডাক দিক না, জনগণ তাতে সারা দেয় কিনা। তারা আন্দোলন কি জনগণ ছাড়া করবে? আর তাদের ঐক্যফ্রন্টের গোড়াতেই গলদ। ঐক্যের শুরুটাই করেছে তারা বিদেশিদের নিয়ে। জনগণের কাছে না গিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গেছে বিদেশিদের কাছে।

মন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্ট বিদেশিদের আস্থায় আনতে চায়। জনগণের আস্থা তাদের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। যদি জনগণের প্রতি তাদের আস্থা থাকত তাহলে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর তারা জনগণের কাছে যেত। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর প্রথম তারা সাক্ষাৎ করেছে বিদেশিদের সঙ্গে। তারা জনগণের কোনো সমাবেশে যায়নি। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয় এরা কতটা দেউলিয়া, এরা কতটা জনসমর্থনহীন। এরা ভালো করেই জানে ১০ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।

মন্ত্রীর সঙ্গে সাসেক প্রকল্প পরিচালক মো. ইছহাক আলী, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সওজের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ এখন আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে নেই। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে সেই আশা করে জনগণ নির্বাচমুখী হয়ে পড়েছে। নির্বাচনমুখী জনগণকে ১৫-২০ দিনে আন্দোলনমুখী করা কিছুতেই সম্ভব নয়। যারা এ ধরনের অপপ্রয়াস করছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন মানুষ ইলেকশনমুখী। পাবলিক এখন ইলেকশন মুডে আছে। কেউ এখন আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে নেই।

সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের জনসমাবেশের অনুমতি না দেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তো তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

নরসিংদী ও চট্টগ্রামের জঙ্গি আস্তানার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এত বড় বড় নেতা জাতীয় নেতারা সিলেট যাবে তাদের নিরাপত্তা তো দেখতে হবে। সিলেটের সমাবেশ বন্ধ করা হয়নি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, চন্দ্রা ফ্লাইওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। মূল ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই ব্রিজের পুরো কাজ শেষ হবে এ লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply