জিম্মি জাহাজটি দাহ্য পদার্থ বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে

|

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজে থাকা কয়লা তথা দাহ্য পদার্থও এখন বড় দুশ্চিন্তার কারণ। যথাযথ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না হলে এবং সৃষ্ট গ্যাস নির্গমন না করলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি আছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জাহাজে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নাবিক আছেন বলে আশ্বস্ত করছে মালিকপক্ষ।

জিম্মি জাহাজটিতে রয়েছে ৫৫ হাজার টন কয়লা, যা দাহ্য পদার্থ হিসেবে পরিচিত। তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে কয়লা জ্বলে উঠে। এছাড়া অক্সিজেন লেভেল যথাযথ না হলে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে, বলছেন এই সেক্টরের অভিজ্ঞজনরা। এ অবস্থায় জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকের পক্ষে কতটুকু সংরক্ষণ বা তদারকি সম্ভব হচ্ছে তা নিয়েই এখন উদ্বেগ।

মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, কয়লার প্রধান সমস্যা হলো তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা নিজে জ্বলে উঠে। মেইনটেনেন্সের ব্যত্যয় হলে বিপদ ঘটতে পারে।

তবে জাহাজে থাকা নাবিকরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দোভাষীর মাধ্যমে জলদস্যুদেরও বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হবেন বলছেন মালিকপক্ষ।

কেএসআরএম এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকরা এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ। কী পরিবেশে কীভাবে কয়লা রাখতে হয় ওরা জানে। নাবিকরা জাহাজে আছে, জলদস্যুরাও আছে সেখানে। তারা নিজেদের স্বার্থেই এগুলো মেইনটেনেন্স করে যাবে। যদি কোনো অসুবিধা হয়, আমরা সাথে সাথে জানতে পারবো। তখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

জাহাজের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগের বিকল্প নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। নৌ বাণিজ্য দফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, এই সময় নাবিকরা নিরাপদে থাকতে পারে, ব্যাপারটা নিশ্চিত করা জরুরি। সেজন্য সবসময় কথাবার্তা চালিয়ে যেতে হবে। যাতে কোনোভাবে উদ্যোগ বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। ৮দিন পর ২০ মার্চ ৩য় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ মালিকের সাথে প্রথম যোগাযোগ করে জলদস্যুরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply