রাখঢাকহীন চাঁদাবাজি, পুলিশি পাহারায় ফুটপাতের হকাররা

|

রাব্বী সিদ্দিকী:

রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সড়কে কোনো যানবাহন চলতে দেখা যায় না। সড়কটিতে রয়েছে শত শত দোকান। শুধুমাত্র গুলিস্তানেই কমপক্ষে ৫ হাজার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন এসব দোকান থেকে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা করে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়।

এসময় দুলাল নামে এক লাইনম্যানকে চাঁদার টাকা তুলতে দেখা যায়। প্রতিদিন এভাবেই চাঁদার টাকা তোলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, চাঁদার টাকা তিন ভাগ করে পুলিশকেও একটি ভাগ দেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকার্স লীগের সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, যুগ যুগ ধরে হকারদেরকে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এর কারণ হলো, চাঁদাবাজরা পুলিশ প্রশাসনের কথা বলে চাঁদা নিচ্ছে। এর সাথে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত।

এদিকে, যমুনা নিউজের উপস্থিতি টের পেয়ে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ। একজন হকার বলেন, এখন দোকান বসাতে না দিলেও একটু পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিছু টাকা দিলে আবারও দোকান বসাতে দেবে।

অপরদিকে, গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া একটি অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা। এই এলাকার একটি সড়কের পুরোটাই হকারদের দখলে। এই দখলের প্রটেকশন দিচ্ছে পুলিশ। এই রাস্তায় যেন যানচলাচল করতে না পারে, সে জন্য পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। মনে হচ্ছে, পুরো সড়কটিই যেন হকারদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।

একজন পথচারী বলেন, আমরা এটির ভুক্তভোগী। প্রতিদিনই এই রাস্তাটি বন্ধ থাকে। অপর এক পথচারী জানান, এই রাস্তাটি বন্ধ করে পুলিশ পাহারা দিয়ে থাকে। যাতে এদিক দিয়ে গাড়ি না যেতে পারে। এটি সরকারি রাস্তা নাকি ব্যক্তিগত রাস্তা, তা বোঝার উপায় নেই।

এ বিষয়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, এদিক দিয়ে মোটরসাইকেল ও রিকশা গেলে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তাই এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply