আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১২ তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনা (১২এমপি) লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের কোটা অনুমোদন আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দেওয়ান রাকায়াতে (সংসদে) দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম এ ঘোষণা দেন। মন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরকালে তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে বিদেশি কর্মী কোটা মোট কর্মশক্তির ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। ইমিগ্রেশন বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী, ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে প্রায় ২ দশমিক ১৭ মিলিয়ন বিদেশি কর্মী ছিল। বর্তমানে সরকার ওই কর্মীদের জন্য নতুন কোটার উপর স্থগিতাদেশ বজায় রাখছে। কারণ কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ১২ এমপি লক্ষ্যে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, কোটামুক্ত করার সিদ্ধান্তটি দ্বিতীয় শ্রম পুনঃনির্মাণ কর্মসূচির (আরটিকে ২.০) ফলাফলের উপরও নির্ভর করবে। এটি অনথিভুক্ত কর্মীদের বৈধ করার জন্য একটি সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচি।
এদিকে, নতুন করে আর বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোনো আবেদন অনুমোদন করছে না মালয়েশিয়া সরকার। যারা ইতিমধ্যে অনুমোদন নিয়েছেন, তাদের ৩১ মার্চের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন জমা দিতে হবে। এরপর আর কর্মীদের ভিসার আবেদন নেবে না দেশটি। যারা ইতোমধ্যে ভিসা নিয়েছেন বা নেবেন; তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ সময় আগামী ৩১ মে। যারা এই সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেনি এমন কর্মীদের কোটার সম্পূর্ণ বিবরণ এবং আরটিকে ২.০ প্রক্রিয়ার ফলাফল পাওয়ার পরে বিদেশি কর্মী কোটা পুনরায় চালু করার বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে ৩০ জুন। সরকার নতুন করে বিবেচনা করার আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য বিদ্যমান কোটাও বিবেচনা করবে যা এখনও ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে, শ্রমের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য গোষ্ঠীগুলি এর আগে সরকারকে কোটা অনুমোদন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
/এএস
Leave a reply