টানা ৫ ইনিংসে দুইশর আগেই অলআউট বাংলাদেশ

|

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে একটি ‘মিম’ খুব প্রচলিত। সেটি হলো, বাংলাদেশের ব্যাটাররা যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন পিচ হয়ে যায় বোলিং সহায়ক। আর যখন বাংলাদেশ বল করে, তখন হয়ে যায় ব্যাটিং সহায়ক। এই মিমকেই যেন বারবার সত্য প্রমাণ করছেন টাইগার ব্যাটাররা। টানা ৫ ইনিংসে ২০০ করতে পারেনি শান্ত-লিটন-মিরাজরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম বরাবরই ব্যাটিং সহায়ক হয়। সেই ব্যাটিং স্বর্গে লঙ্কানরা গড়েছে ৫৩১ রানের পাহাড়। অথচ একই মাঠে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৭৮ রানে। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় ব্যাট করে বাংলাদেশ ‍তুলেছিল ৫৫ রান। বিনিময়ে হারায় মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট।

সোমবার (১ এপ্রিল) ম্যাচের তৃতী দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংস সমৃদ্ধ করার কথা ছিল শান্ত-লিটন-সাকিবদের। উল্টো পুরনো ‘রোগ’ ব্যাটিং বিপর্যয়ে দুইশর আগেই থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। দলের পক্ষে জাকির হাসান ৫৪, মুমিনুল হক ৩৩ আর তাইজুল ইসলামের ২২ রানের বাইরে বলার মতো কারোই পারফরম্যান্স নেই।

অর্ধশতক করা জাকির যখন বিদায় নেন তখন বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯৬। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং অর্ডার। আগের টেস্টের মতো এই ইনিংসেও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লঙ্কান সিরিজের আগে ভারমুক্ত হয়ে অধিনায়কত্ব পাওয়া নাজমুল শান্ত। তিনি ফিরেছেন মাত্র ১ রানে। আর নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ২২ রান করে আউট হলে ১০৫ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলা সাকিব আল হাসানও দলের হাল ধরতে পারেননি। মাত্র ১৫ রানেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফার্নান্দোর বলে ফিরেছেন সাকিব। তাকে অনুসরণ করে তিন বল পরেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। মাত্র ৪ রানে লিটন ফিরলে ১৩০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ।

এরপর শাহাদাত দিপু ৮ আর মিরাজ ৭ রান করে ফিরলে ১৬৫ রানেই ৮ উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ১৭৫ রানে মুমিনুলও বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

এর মাধ্যমে টেস্টে টানা ৫ ইনিংসে ২০০-এর আগেই অলআউট হলো বাংলাদেশ। সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ১৮৮ ও ১৮২ রানে অলআউট হয়েছিল শান্ত-জয়-লিটন-মিরাজরা। এর আগে, গত ডিসেম্বরে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রান করেছিল বাংলাদেশ।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply