বন্ধুদের সাথে মদ্যপান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

|

চুয়াডাঙ্গা করেসপনডেন্ট:

বন্ধুদের সাথে মদ্যপান করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামিম (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল বন্ধুদের সাথে মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত হামিম (১৬) তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মহিবুল ইসলামে ছেলে। সে স্থানীয় আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। দুই ভাই-বোনের মধ্যে হামিম ছিল মেজো।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৮ এপ্রিল রাতে ৭-৮ বন্ধু হামিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় দোকান থেকে চানাচুর ও চিপস কিনে আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাঠে সবাই মিলে মদ্যপান করে। এসময় জোরপূর্বক হামিমকে মদপান করালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তার বন্ধুরা হামিম মারা গেছে ভেবে তাকে মাঠে ফেলেই চলে যায়।

এরপর তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে তার পরিবার। পরদিন সকালে এক কৃষক হামিমকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত স্কুলছাত্রের নানা মিনাজ উদ্দিনের অভিযোগ, হামিম কোনদিন ধুমপান পর্যন্ত করেনি। তাকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক মদপান করানো হয়। হামিমের কাছে নগদ সাত হাজার টাকা ছিল। টাকাগুলো নিয়ে নিয়েছে। তার মোবাইলটিও ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সোদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, ওই যুবক অতিরিক্ত মদ্যপান করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর এ কারণেই তার মৃত্যু হয়। রহস্যজনক মনে হওয়ায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply