ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি ১৭তম আসরে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়লো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা ও হেনরিখ ক্লাসেনদের ছক্কা বৃষ্টিতে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৮৭ রানের পাহাড় গড়ে দলটি। এর আগে গত ২৭ মার্চ চলতি রোহিত শর্মাদের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৭৭/৩ রান করেছিল হায়দরাবাদ। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়ল তারা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেঙ্গালুরু এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। টসের সময় প্যাট কামিন্স বলেছিলেন আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না এখানে কখনও কখনও ২৪০ রান অনায়াসে হতে পারে। অধিনায়কের এমন কথা যেন খানিকটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড শুরুটা করলেন একেবারে স্বপ্নের মতো। বেঙ্গালুরুর মাঠ এমনিতেই ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ। এদিনও বল ব্যাটে আসে একেবারে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই। দুই ওপেনার অভিষেক ও হেডও রান তুললেন তাই অনায়াসে। জ্যাকস নিজের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১১ রান দিলেও রিস টপলি প্রথম ওভারে দিয়ে গেলেন ২০ রান।
ইয়াশ দয়াল প্রথম ওভারটা ভালো করলেও পরের ওভারে দিয়েছেন ২০ রান। পঞ্চম ওভারে ফার্গুসন খরচ করেছেন ১৮ রান। তাতে কোনো উইকেট না হারিয়ে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার পাওয়ারপ্লেতে তুললেন ৭৬ রান। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরও চার-ছক্কা আটকানো যায়নি সফরকারী ব্যাটারদের। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা হেড বেঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনারকে দেখে অভিষেকও হাঁটলেন একই পথে। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি টপলি।
বাঁহাতি এই পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ফার্গুসনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা অভিষেক। তরুণ এই ওপেনার ফিরলেও থামেননি হেড। অজি এই ওপেনার তাণ্ডব চালিয়ে ৩৯ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। যদিও একশ ছোঁয়ার পর তাকে ফিরিয়েছেন ফার্গুসন। ডানহাতি এই পেসারের উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে থাকা ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১০২ রানের ইনিংস খেলা হেড।
এরপর বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন ক্লাসেন। ২৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত রান তুলেন এইডেন মার্করাম। তবে তাদের দু’জনের ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন ফার্গুসন। নিউজিল্যান্ডের এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ফুলটসে পয়েন্ট ক্যাচ দেন ৩১ বলে ৬৭ রান করা ক্লাসেন। পরের ওভারে ফিরতে পারতেন মার্করামও। দয়ালের বলে ক্যাচ নিলেও নো বলের কারণে বেঁচে যান প্রোটিয়া এই ব্যাটার। শেষ দিকে ঝড় তোলেন সামাদ। তরুণ এই ব্যাটার খেলেছেন ১০ বলে ৩৭ রান করেছেন। মার্করাম অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে।
/আরআইএম
Leave a reply