জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ৩ মে থেকে। তাই ১ মে পর্যন্ত মোস্তাফিজকে আইপিএলে খেলার এনওসি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দিন কয়েক আগেই বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেছিলেন আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। বিসিবির এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।
ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের এমন মন্তব্যের পর দেশের সাধারন ক্রিকেট ভক্তরা থেকে শুরু করে দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সমালোচনা করেছিলেন সবাই। সাকিব-তামিমদের গুরুতো বলেই দিয়েছিলেন, এটা সেরা জোকস। এবার সেই মন্তব্যের সমালোচনা করে বিসিবির রীতিনীতির দিকে আঙুল তুলেছেন প্রখ্যাত ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট পরিচালক যা বলেছে আশা করি তা মিথ্যা হবে। কারণ সে বলেছে আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তখনই প্রশ্নটা উঠছে কোথায় তাহলে তার জন্য ভালো। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটা। আসলে বাংলাদেশের রীতিটা ঠিক করতে হবে। এখানে খেলাটা মোস্তাফিজের জন্য খুবই ভালো। কারণ এখানে সে দারুণ বোলিং করছে।
আইপিএলের জন্য মোস্তাফিজুর রহমানকে শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর ফিজের ছুটি ১ দিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। সেদিন চেন্নাইয়ের ম্যাচ রয়েছে পাঞ্জাবের বিপক্ষে। সব ঠিক থাকলে সেই ম্যাচ খেলে পরদিন ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন মোস্তাফিজ। ফিজকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন হার্শা।
হার্শা ভোগলে বলেন, মোস্তাফিজ ১ মে আইপিএল ছেড়ে চলে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক বলেছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে খেলাটা মোস্তাফিজের জন্য বেশি ভালো। ডোয়াইন ব্রাভো যখন পাথিরানাকে শেখাবে তখন ফিজ খুব বেশিদিন এখানে থাকবে না। ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার।
প্রশ্ন আছে আরো। যখন জাতীয় দলের অজুহাতে ফিজকে ফেরানো হচ্ছে আইপিএল থেকে। সেখানে ভিন্ন ছবি সাকিব আল হাসানের বেলায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তাকে জাতীয় দল না, খেলার অনুমতি দেয়া হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। অথচ জিম্বাবুয়ে সিরিজ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এমন দ্বিমুখী আচরণ অবশ্য এবারই প্রথম না, কিন্তু কেন কি কারণে সেই উত্তর দেয়ার কেউ নেই!
ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান তো বলেই দিয়েছেন শেখারও শেষ আছে, মোস্তাফিজের মতোই হয়তো কর্তাদের জানারও শেষ-বোঝারাও শেষ। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বে হার্শা ভোগলের মতোই এমন মন্তব্যের সমালোচনা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা এদেশের ক্রিকেটে সিস্টেম নিয়েই গড়ে উঠছে একটা নেতিবাচক ধারণা-নেগেটিভ ব্রান্ডিং।
/আরআইএম
Leave a reply