শামীম রেজা:
অসহ্য গরম, তাপমাত্রা আজ কতো? কবেই বা কমার সম্ভাবনা? তীব্র দাবদাহে আবহাওয়ার এই বার্তা দেখা এখন অনেকের অভ্যাস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সাথে আরও একটি অপশন থাকে ‘ফিলস লাইক’ অর্থাৎ তাপ অনুভূত হচ্ছে কতটা।
এ প্রসঙ্গে একজন রাজধানীবাসী বলেন, টেম্পারেচার যদি ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, সেটা ফিল হয় ৪০-৪২ ডিগ্রি অথবা তার চেয়েও বেশি। আরেকজন বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত গরম বাড়ছে। দিন দিন এটা বেড়েই চলেছে। অথচ এই সময়ে গ্রামে গেলে সেখানে কিন্তু তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কম পাওয়া যাবে।
গ্রীষ্মকালের এই ‘ফিলস লাইক’ তাপমাত্রাকে বলা হয় হিট ইনডেক্স বা তাপ সূচক। বাতাসের তাপ আর জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ বিবেচনা করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী দেহে তা কতটা গরম অনুভব করাবে এরই পরিমাপ হলো তাপ সূচক বা ফিলস লাইক।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জাকির হুসাইন খান বলেন, তাপমাত্রা যদি থাকে ৪০ ডিগ্রি, ফিলস লাইক বলা হচ্ছে ৪৫-৪৬ ডিগ্রি। এর কারণ কী? কারণ হলো, পৃথিবীতে সূর্য রশ্মি আসার পর যে তাপমাত্রাটা থাকে, সেটাই ভূপৃষ্ঠের মূল তাপমাত্রা। আর পৃথিবীতে প্রতিফলিত এই তাপমাত্রা যখন ভূমি থেকে বিকরিত হয়ে মানব শরীরে অনুভূত হয়, সেটাই ‘ফিলস লাইক’ বা অনুভূত তাপমাত্রা।
গ্রীষ্মকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ‘তাপ সূচক’ প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয়। অর্থাৎ মূল তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ৪০ শতাংশ আর্দ্রতায় তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত অনুভব হতে পারে।
তাপমাত্রা আর এর অনুভবের এই পার্থক্য রাজধানীসহ শহর এলাকায় সবচেয়ে বেশি। পার্থক্যটা সেখানেই কম, যেখানে আছে প্রচুর গাছ আর জলাধার।
/এএম
Leave a reply