শরিয়তপুর করেসপনডেন্ট:
মাঠ জুড়ে উঁকি দিচ্ছে সোনালী ধান। অধিকাংশ জমির ধান এখন পেঁকে গেছে। কিন্তু তীব্র দাবদাহের কারণে বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না ধান কাটার মজুর। তাই বাধ্য নিজেদের ক্ষেতের ধান নিজেরাই কাটছেন চাষীরা। তবে দিনের বেলা সূর্যের প্রখর তাপ থাকায় ধান কাটছেন রাতে, চাঁদের আলোতে! কৃষি বিভাগ বলছে, হিটস্ট্রোক এড়াতেই নেয়া হয়েছে অবলম্বন করা হচ্ছে এমন পন্থা।
সরেজমিন দেখা মেলে, জেলার চর কাশাভোগ এলাকার মিজান শিকদার, ৮০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় অনেকটাই খুশি তিনি। তবে বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে ধান পাকার পর। প্রচণ্ড দাবদাহে দিনের বেলা ধান কাটতে রাজি হচ্ছিলো না কৃষাণরা। পরে সিদ্ধান্ত নেন রাতেই কাটা হবে জমির ধান। এরপর ৪ জন কৃষাণ নিয়ে চাঁদের আলোকে সঙ্গী করে ধান কাটতে শুরু করেন। রাত ৯টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে তাদের এ ধান কাটার কার্যক্রম। এতে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে তার।
আঙ্গারিয়া এলাকার ধানচাষি আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি রাতে কৃষাণ নিয়ে ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটার কাজ শুরু করেছেন। মূলত দিনে হিটস্ট্রোকের ভয়ে অনেকেই ধান কেটে দিতে রাজি হননি। পরে রাতে ধান কাটা শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে আমাদের কৃষকদের দিনের বেলা ধান কাটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ অতিরিক্ত গরমে কাজ করলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। যারা এই গরমে মাঠে কাজ করবেন তাদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করার পাশাপাশি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হবে।
রাতের বেলা ধান কাটার বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাতে ধান কাটা হচ্ছে। এতে হিটস্ট্রোক এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। তবে এসকল চাষিরা যদি আমাদের হারভেস্টার মেশিনগুলো ব্যবহার করেন তাহলে আরও দ্রুত ধান সংগ্রহ করতে পারবেন।
/এমএইচ
Leave a reply