উপজেলা নির্বাচন: নেই উৎসবের আমেজ, জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

|

সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। তৃণমূলের ভোট, তবুও উৎসবের ছোঁয়া লাগেনি মানুষের মনে। ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের বাইরে খুব একটা আলোচনাও নেই।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উপজেলা নির্বাচনে জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি রয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং প্রার্থী হওয়ার পথে দলীয় প্রভাব ও বাধাকেই এর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা।

এছাড়া বিগত বছরগুলোয় উপজেলা পরিষদগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন না করায় আগ্রহ হারিয়েছে জনগণ। এজন্য পরিষদ কার্যকর করা ও রাজনৈতিক সংকট দূর করার তাগিদও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে উপজেলায় দলীয় প্রতীকের বিধান করে বর্তমান সরকার। অথচ রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এবার প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। সেইসাথে আবার কারা প্রার্থী হতে পারবেন সে বিষয়েও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। আবার ভোট বর্জনের অংশ হিসেবে উপজেলাতেও প্রার্থী নেই বিএনপির।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, এই নির্বাচনেও ভোটার শূন্যতার একটি বিষয় দেখা যাবে। এরকমটা হলে এমন নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলছেন, যে নির্বাচনে কোনো প্রতিযোগিতা নাই সেখানে জনগণ যাবে না। জনগণ তো আর পাগল হয়ে যায়নি।

এদিকে, তৃনমূলের ভোট নির্দলীয় রাখার পক্ষে মত বিশেষজ্ঞদের। দলীয় প্রভাব ও প্রশাসনিক ক্ষমতার বিন্যাস জটিলতায় উপজেলা পরিষদ কার্যকর হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের। এ কারণে, প্রার্থীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারের আগ্রহ কম বলে মনে করছেন তারা।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, এমপি, চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এদের মধ্যে কিছু দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এগুলোর কোনো সুরাহা করা হয়নি। ফলে বাড়ছে জটিলতা।

ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে গুনগত কোনো পরিবর্তন নেই। কিছু লোক লাভবান হচ্ছে ঠিকই তবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে তৃনমূলের এরা তেমন কোনো কাজে আসে না।

তাই বলা চলে, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে না পারলে ভোটের সংস্কৃতিতে সহসা পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। দিন শেষে যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে তৃণমূলের ভোটেও।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply