অর্থনীতির এক নম্বর চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি

|

রিমন রহমান:

মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতির এক নম্বর চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে রিজার্ভ সঙ্কট, বিনিয়োগ স্থবিরতা, ব্যাংক খাতে দুর্দশা ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে শ্লথগতি সঙ্কটকে উসকে দিচ্ছে। সংস্কারে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, কিন্তু সহসাই উত্তরণের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে তদারকি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উত্তরণ হচ্ছে না। কয়েক মাস ধরেই অসহনীয় পণ্যমূল্য। আয়ের চেয়ে বেশি করতে হচ্ছে ব্যয়। প্রায় ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতিতে ক্রেতার বাড়ছে হা-হুতাশ। যেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রহণ করতে হবে সঠিক নীতি-কৌশল।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, তহবিল সঙ্কটে আমদানি হচ্ছে না। আমদানি না হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাজারে যোগান ব্যাহত হচ্ছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে যদি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা যায়, তাহলে পরবর্তীতে বৃদ্ধিটাকে ঠেকানো যাবে। যাতে আর না বাড়ে। আর নামিয়ে আনতে হলে এর কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

এছাড়া, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগও তলানিতে। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি হচ্ছে কম। ফলে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কর্মসংস্থান। ব্যাংক খাতের সঙ্কটও অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ অনেকদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য যে কাঁচামাল দরকার তা এলসি সেটেলমেন্ট ও ওপেনিং দুটোই নেতিবাচক পর্যায়ে।

এডিপি বাস্তবায়নও হচ্ছে কম। তার ওপর সংশোধিত বাজেটে কাঁটছাঁট করা হয়েছে বরাদ্দ। এতে বাধাগ্রস্ত হবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন।

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঋণখেলাপীদের নানা সুবিধা দেয়া হয়েছে। তাতে করে ঋণখেলাপী কমছে না, বরং বাড়ছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আমাদের এখানে বরাদ্ধ এমনিতেই কম থাকে, আরও কমানো হয়েছে। যেহেতু তারা ব্যবহার করতে পারছে না। এছাড়া সার্বিকভাবে এডিপি বাস্তবায়নে আমরা পিছিয়ে থাকি। সহসাই এর থেকে উত্তরণের কোনো ভবিষ্যৎ দেখা যাচ্ছে না।

আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করাও এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply