রফতানি কমায় ভালো দাম পাচ্ছেন না রাজবাড়ীর পান চাষীরা

|

সারাদেশ ডেস্ক:

সাচি ও মিষ্টি— এ দুই ধরনের পান চাষ হচ্ছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও হচ্ছে তিনটি দেশে। করোনা সংক্রমনের আগে ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়াতসহ ১০টি দেশে রফতানি হয়েছে রাজবাড়ীর পান। মহামারি এলে বন্ধ হয়ে যায় রফতানি। এখন নতুন করে ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছে।

প্রতিটি গাছ থেকে সপ্তাহে দুইবার করে ২-৩টি পাতা সংগ্রহ করা হয়। বাজারে তা বিক্রি হয় পণ হিসেবে। প্রতি পণে ৮০টি পাতা থাকে। স্থানীয় বাজারে আকারভেদে প্রতি পণের দাম ৫০ থেকে ২০০ টাকা। রফতানির জন্য বাছাই করা প্রতি পণ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি বিঘা জমিতে চাষীদের খরচ হয় দুই লাখ টাকা এবং চাষ থেকে শুরু করে ৬ মাস চলে বরজের পরিচর্যা। এখানকার পান ফরিদপুর, কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলাতেও যাচ্ছে।

চাষীরা বলছেন, আগের মতো রফতানি না হওয়ায় তারা কম লাভবান হচ্ছে। বাজার সম্প্রসারণে কাজ করতে হবে। তাদের অভিযোগ, বাজারে ভালো দাম জুটলে মাঠে চোরের উপদ্রব বাড়ে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন চাষীরা।

উল্লেখ্য, এই উপজেলায় ৮১৪টি বরজ থেকে বছরে চাষীরা ৭০ কোটি টাকার পান বিক্রি করছেন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply