জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে গুজরাটকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ব্যাঙ্গালুরু

|

ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আগে ব্যাট করতে নেমে সাই সুদর্শন ও শাহরুখ খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের বড় সংগ্রহ পায় গুজরাট। লক্ষ্য তাড়ায় উইল জ্যাকসের ঝড়ো সেঞ্চুরির সাথে ভিরাট কোহলির অনবদ্য ৭০ রানের ইনিংসে ২৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ব্যাঙ্গালুরু। এই জয়ের ফলে প্লে-অফের আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে দলটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাঁফ ডু প্লেসিস। আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি গুজরাট। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান শাহকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে দলটি তোলে ৪২ রান। এরপর ছুটি কাটিয়ে দলে ফেরা গ্লান ম্যাক্সওয়েল ফেরান অধিনায়ক শুভমান গিলকে। ১৬ রান করে গিল ফিরলে দলের হাল ধরেন সাই সুদর্শন ও শাহরুখ খান। তাদের ব্যাটে করেই বড় সংগ্রহের পথে হাটতে থাকে দলটি।

মৌসুম জুড়ে রান খড়ায় কাটানো শাহরুখ এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৪ বলে। ম্যাচের ১৩ তম ওভারে ক্যামরুন গ্রিনকে পরপর তিন বলে দুটি চার একটি ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজের ১৪০ কি.মি. স্পিডের রিভার্স সুইংয়ে বোল্ড হয়ে ৩০ বলে ৫৮ করে থামেন তিনি। ৮৬ রানের এই জুটি ভাঙলে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪.১ ওভারে ১৩১ রান।

এরপর উইকেটে আসা ডেবিড মিলারকে সঙ্গী করে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সুদর্শন। ব্যাঙ্গালুরুকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে এদিন মূল কাজটা করেন এই ব্যাটার। গ্রিনদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেন ৪৯ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার। মিলার অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ২৬ রান করে। গুজরাটের হয়ে স্বপ্নিল, সিরাজ ও গ্রীন একটি করে উইকেট নেন।

২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাও দারুণভাবেই করেন ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি ও ভিরাট কোহলি। প্রথম ৪ ওভারেই ৪০ ছুঁই ছুঁই দলটির। কিন্তু শাই কিশোরের শর্ট লেংথের কুইকারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২ বলে ২৪ রান করা ডু প্লেসি। এরপর দলের হাল ধরেন কোহলি ও জ্যাকস। এদিন উইকেটে থিতু হয়ে রান তুলতে থাকেন কোহলি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন জ্যাকস।

৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। আসরে এটি তার পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দেখশুনে খেলতে থাকা জ্যাকসও হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩২ বলে। কিন্তু এরপরই তিনি রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ১৫ তম ওভারে মোহিতকে তিন ছক্কা ও দুই চার মেরে ২৯ রান তোলেন। পরের ওভারে রশিদকে চার ছক্কা ও এক চার মেরে ৪১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। কোহলি অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৭০ রান করে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply