শাকিল হাসান:
সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রায় গাছশুন্য ঢাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। তবে রাজধানীর কিছু কিছু জায়গায় সবুজের দেখা মেলে। যেখানে গেলে গাছের ছায়া ও শীতল বাতাস পাওয়া যায়। এর মধ্যে নগরীর হেয়ার রোড অন্যতম। ইট-পাথরের ঢাকায় হেয়ার রোডের গাছপালায় চোখ জুড়িয়ে যায়।
কিন্তু নগরীর বেশিরভাগ স্থানে গাছপালা ও পানির জলাধার না থাকায় চলমান তাপপ্রবাহে তিলোত্তমা ঢাকার পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ কেমন শহর?
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পরিকল্পনাহীনতা এবং যেটুকু ছিল তাও বাস্তবায়ন করতে না পারাই এর অন্যতম কারণ। উন্নয়ন মানেই অবকাঠামো বা সুউচ্চ ইমারত নয়। এটি সবাইকে বুঝতে হবে। গাছপালা ও জলাধার রেখে শহরকে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
গাছপালা যে নগরীকে শীতল রাখে তার প্রমাণও রয়েছে। শহরের অন্যান্য স্থানের চেয়ে রমনা বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলিসিয়াস কম। এমন সবুজে ঘেরা জায়গা আরও থাকলে ঢাকা এল নিনোর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারতো।
প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক লেখক মোকারম হোসেন বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ ও জলাশয় তৈরি করা দরকার। যেখানে নতুন করে শহর গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই জলাশয় ও খালি জায়গা রাখতে হবে।
এখনও আন্তরিকতা ও সঠিক পরিকল্পনা নেয়া গেলে ঢাকার নাগরিক জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফেরানো সম্ভব।
এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যেখানেই খালি জায়গা রয়েছে, সেখানে পরিকল্পিতভাবে গাছ রোপণ করতে হবে। এছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে সবুজায়ন করা গেলে ঢাকায় তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
তবে বৈশাখের কাঠফাটা রোদে গাছ লাগানো কোনো সমাধান নয়। বৃক্ষ রোপণ করতে হবে পরিকল্পিত উপায়ে।
প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক লেখক মোকারম হোসেন বলেন, এ সময় গাছ লাগালে তা বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া স্থান ও কোথায় কতটুকু জায়গা আছে তা বিবেচনায় নিয়ে গাছ নির্বাচন করতে হবে।
উল্লেখ্য, একটি শহরের চারভাগের একভাগ গাছপালা থাকার কথা থাকলেও ঢাকায় রয়েছে পাঁচভাগেরও কম। অপরদিকে যেটুকু রয়েছে তাও দিনদিন কমছে।
/আরএইচ/এমএন
Leave a reply