নিউইয়র্কে পিচ ইন্সটলেশন শুরু

|

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে আমেরিকা। দীর্ঘদিন ধরে সাজছে নিউইয়র্ক, টেক্সাস ও ফ্লোরিডা। তবে বেসবলের দেশে উন্নত মানের ক্রিকেট পিচ মিলবে কোথায়? এই যেমন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। ইস্পাতের কাঠামোয় তৈরি ৩৪ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গোটা স্টেডিয়ামই অস্থায়ী। তবে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল পিচ নিয়েই। অবশেষে যার সমাধান হচ্ছে অভিনব কায়দায়।

গত অক্টোবরে ১০টি ড্রপ-ইন পিচ তৈরির কাজ শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। শুরুতে এগুলো ট্রেতে বসানো হয়। প্রতিটি পিচকে ভাগ করা হয়েছে দুটি ট্রেতে। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলতে ৪টি ও অনুশীলনের জন্য আরও ৬টি পিচ। যা ১৪ হাজার মাইল বা প্রায় ২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে অ্যাডিলেড থেকে জাহাজে করে এনে রাখা হয় ফ্লোরিডায়। এরপর সেখান থেকে সড়কপথে, গন্তব্য নিউইয়র্ক।

পিচগুলো পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ২০টি সেমি-ট্রেলার ট্রাক। যা ক্রিকেটের জন্য নতুন এক মাইলফলক। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখভাল করছেন অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর ড্যামিয়ান হাফ। অ্যাডিলেডের প্রধান এ কিউরেটর বলেন, আমরা আশা করি ভালো একটা টি-টোয়েন্টি পিচ পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গতি ও সমান বাউন্স থাকবে, এমন পিচ তৈরি করা। যেখানে খেলোয়াড়রা শট খেলতে পারবেন। আমরা বিনোদনে ভরপুর ক্রিকেট চাই, কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে।

৩ জুন এখানে প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার। এরপর ১০ জুন সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তাই তো কেমন হবে উইকেট? সেটা জানার চেষ্টায় আছেন টাইগার কোচও। চান্দিকা হাথুরুসিংহে বলেন, বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আমাদের কম্বিনেশন তৈরী করতে হচ্ছে। আমারা সেই চিন্তা থেকে ভালো পিচে খেলতে চাই। জানি না আমেরিকাতে কেমন উইকেট থাকবে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে সেখানে। কন্ডিশন কেমন হবে ধারনা নেই। তবে এটা জেনেছি ড্রপ উইকেটে খেলা হবে। পিচ তৈরী করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। সেখানে থেকে নেয়া হবে আমেরিকাতে। অস্ট্রেলিয়ার মতো উইকেট আশা করছি। নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যানেজারের সাথে কথা হয়েছে, তার কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়েছি।

২০ দলের টুর্নামেন্টের মধ্যে ৯ দল খেলেবে নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্কে। যার মধ্যে রয়েছে ৯ জুনের ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেটজ ম্যাচ। সব মিলিয়ে ১৬টি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে আর ৩৯টি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নিউইয়র্কের এই মাঠেই হবে ৮টি ম্যাচ।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply