বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক, নিউক্লিয়াসসহ আরও অনেক বিশেষণ দেয়া যায় ‘পঞ্চপাণ্ডব’ কে। যদিও এখন আর একত্রে দেখা মেলে না এই পাণ্ডবদের। যেমনটা আগে দেখা যেত জাতীয় দলে। নৈপুণ্যের দ্যুতিতে মাঠ মাতাতেন একসাথে। আবার খেলা শেষেও দেখা মিলতো এই হাসিমুখগুলোর।
তবে, এখন সেসবই অতীতের গল্প। কারণ, জাতীয় দলের বাহিরে আছেন দুজন। সবার আগে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়েছেন মাশরাফি। তিন ফরম্যাটে খেলছেন একমাত্র সাকিব আল হাসান। বাকি মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ খেলছেন নির্দিষ্ট ফরম্যাটে। তামিম ইকবালও বেশ কিছুদিন ধরে রয়েছেন জাতীয় দলের বাহিরে।
২০০৮ সাল থেকেই এই পাচঁ ক্রিকেটারকে একসাথে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ক্রিকেট খেলতে দেখেছে ভক্ত-সমর্থকরা। একটা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মানদণ্ডে সেরা পাঁচ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হতে থাকেন তারা।
এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলে একসাথে খেলেছেন মাশরাফী-রিয়াদ-সাকিব-মুশফিক-তামিম। তবে, সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে প্রেক্ষাপট। গুঞ্জন আছে, সাকিব-তামিমের বেড়েছে দূরত্ব। একজন কথা বলেন না আরেকজনের সঙ্গে।
সবমিলিয়ে যে বন্ধনটা দীর্ঘদিন ক্রীড়ামোদীরা দেখতে চেয়েছিল এই পাঁচ জনের মধ্যে, তাতে ছেদ পড়েছে অনেকখানি। সেই আক্ষেপ থেকেই হয়ত নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন রিয়াদ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হোটেলরুমে বসে আড্ডা মারছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাঁচ পোস্টারবয়।
মাহমুদউল্লাহ তার পোস্টে লিখেছেন, এই সময়টা কতোই না চমৎকার ছিল! চলো আবার ফিরিয়ে আনি সে সময়।
মাহমুদউল্লাহর মতো দেশের কোটি সমর্থকও হয়তো এমনই চায়। মাঠে হয়তো একসঙ্গে কখনও আর তাদের দেখা যাবে না, কিন্তু পুরনো মধুর সম্পর্কগুলো তো রঙিন করে ফেরানোই যায়। সে চাওয়াই বাস্তব হয়ে ফিরে আসুক ভক্তদের সামনে, প্রত্যাশা আপাতত এতটুকুই।
/এমএইচ
Leave a reply