ফাইনালে যাওয়ার মহারণে রাতে মাঠে নামছে রিয়াল-বায়ার্ন

|

ছবি: সংগৃহীত

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রাতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। গেলো সপ্তাহে লা লিগা ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাই শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’র লড়াইয়ে নামবে আনচেলত্তির দল। অন্যদিকে, বায়ার্ন কি পারবে মাদ্রিদবাসীর আনন্দ মাটি করে দিতে? সেটি না হলে ১১ মৌসুম পর পুরোপুরি খালি হাতে মৌসুম শেষ করতে হবে বাভারিয়ানদের। 

বুধবার (৮ মে) নিজেদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্ন মিউনিখকে আতিথ্য জানাবে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-২ গোলে সমতায় শেষ করে গ্যালাক্টিকো’রা। তাই ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে দুই দলেরই সামন সুযোগ থাকছে। জিতলে মিলবে ফাইনালের টিকিট, এমন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় মাঠে নামবে দু’দল।

আজ রাতে রিয়ালকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি রিয়াল-ডেডলকও ভাঙতে পারবে বায়ার্ন। সর্বশেষ ৮ দেখায় যে রিয়ালকে হারাতেই পারেনি বাভারিয়ানরা। উল্টো এই ৮ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে জার্মান ক্লাবটি। ২০০০ সালের পর রিয়ালের মাঠে খেলা ৭ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বায়ার্ন। তবে ইতিহাসেরও শেষ আছে, আছে নক্ষত্রেরও পতন। ইতিহাসের সেই একরৈখিক ধারাটা বদলানোর আজ দারুণ এক সুযোগ বায়ার্নের সামনে। কাজ তেমন কঠিন কিছু নয়, রিয়ালের মাঠে ন্যূনতম ব্যবধানের একটি জয়!

গত দুই দশকের পরিসংখ্যান বলছে, দুই দলের ২৭ ম্যাচে রিয়ালের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্ন জিতেছে ১১টিতে। পরিসংখ্যান যাই হোক, প্রতিযোগিতার নামটা যখন চ্যাম্পিয়নস লিগ, তখন রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে রাখতেই হবে! অন্তত ইতিহাস-ঐতিহ্য কিংবা এখানে তাদের চমক-ঝলক কিছুতেই ফুটবলবিশ্ব ভুলতে পারবে না। যুগে যুগে তারা অন্যান্য অঙ্গনে মলিন হলেও উয়েফার মঞ্চে তাদের দাপট সবাই উপভোগ করেছে। এবারও সেই পথে রিয়াল। 

চার ম্যাচ হাতে রেখে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে রিয়াল। কার্ডসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রিয়ালের স্কোয়াডে ফিরেছেন দানি কালভাহাল। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন দলের সেরা গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানসিটিকে হারানোর নায়ক আন্দ্রে লুনিনের ভরসা রাখছেন ইতালিয়ান কোচ।

চলতি মৌসুমের একটি পরিসংখ্যান ভাবাচ্ছে রিয়াল সমর্থকদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে নিজেদের মাঠে জিততে পারেনি গ্যালাক্টিকোরা। শেষ ষোলোতে লিপজিগের ১-১ গোলের ড্র পর কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যান সিটির সঙ্গে ৩-৩ গোলে রিয়াল। তবে সেমির প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র করেছে। এখন কেবল একটা গোল করে লিড ধরে রাখতে পারলেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে রিয়াল।

১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার স্বপ্নে বিভোর মাদ্রিদ। লিগ শিরোপা জিতে দলটি আছে ফুরফুরে মেজাজে। বায়ার্নের চাওয়া, মৌসুমে অন্তত একটি ট্রফি ঘরে তোলা। দুদলই প্রস্তুত। প্রস্তুত বার্নাব্যু। ৯০ মিনিটে নিষ্পত্তি হয়, না কি ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, তা জানা নেই কারও। দুদলের চিন্তা একটাই, কে কাকে চেকমেট দেবে? এক পা বাড়ালেই ফাইনাল। প্রতিপক্ষকে আটকাতে হবে যে কোনো মূল্যে। এ ম্যাচ জিতলে টিকিট মিলবে ১ জুন ওয়েম্বলির ফাইনালের। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছে পিএসজিকে কাঁদিয়ে ফাইনালে ওঠা আরেক জার্মান দল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply