সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের সর্বাত্মক অভিযানের পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নিজেদের অস্তিত্ব বেশ ভালোভাবেই জানান দিয়ে যাচ্ছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে অসম শক্তির লড়াই বলা হলেও ধ্বংসস্তূপ থেকে বারবারই উঠে দাঁড়াচ্ছে তারা, চালাচ্ছে পাল্টা হামলা। সম্প্রতি বেশ জোরালো প্রতিরোধও গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এমন পরিস্থিতিতে নির্বিচারে বেসামরিক হত্যা আর গাজাকে ধ্বংসস্তূপ বানালেও, হামাসের বিরুদ্ধে কতটা সফলতা পেয়েছে ইসরায়েল উঠছে সে প্রশ্ন।
ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামাস যোদ্ধাদের হামলার এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে গত শুক্রবার। সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় তেলআবিব আগ্রাসন চালালেও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি যে পুরোপুরি দমে যায়নি, ভিডিওটি দিচ্ছে তারই প্রমাণ।
রাফায়ও হামাসের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে ইসরায়েলিদের। অথচ, হামাস নির্মূলের অযুহাত দেখিয়েই গাজাজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে তারা। হাজার হাজার টন বোমা আর ইহুদি সেনাদের স্থল অভিযানে এখন ধ্বংসস্তূপ উপত্যকা। হামাস সদস্যরা লুকিয়ে আছে এই দাবিতে হামলা চালানো হয়েছে বেসামরিকদের বাড়িঘর, মসজিদ এমনকি হাসপাতালেও। একের পর এক টানেল ধ্বংসের ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তেলআবিবের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এরমধ্যে হামাস সদস্য কতজন? হামাস নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল এরইমধ্যে এমন দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রাফায় অভিযান চালালে পুরোপুরি হামাস নির্মূল হবে বলেও দাবি তার। তবে, সম্প্রতি শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে নেতানিয়াহুর দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে হামাস যোদ্ধারা।
বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর একটি ইসরায়েল। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে বরাবরই বলা হচ্ছে অসম শক্তির লড়াই। তবে, এখনও দমে যায়নি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি। বারবার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে দিচ্ছে সেই বার্তা। কোথাও কোথাও ইহুদি সেনাদের নাস্তানাবুদ করে ময়দানে শক্তভাবেই নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে তারা।
হামাসের দাবি, এখন পর্যন্ত তাদের সক্ষমতার ২০ শতাংশও ধ্বংস করতে পারেনি ইসরায়েল। রাফায় অভিযান চালিয়ে হামাসকে দমানো যাবে না- তেলআবিবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র খোদ যুক্তরাষ্ট্রই দিয়েছে এমন সতর্কবার্তা। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব। বলা হচ্ছে, চলমান যুদ্ধে অনেক যোদ্ধাকে হারালেও, তরুণ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় নতুন সদস্য পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না গোষ্ঠীটিকে।
এটিএম/
Leave a reply