দুইদিনের সফরে শ্রীলঙ্কা থেকে আজ ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এছাড়া তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে বৈঠক করবেন।
ঢাকা সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন ডোনাল্ড লু। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তিন দিনের সফরে ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লু’র সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে।
ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, নির্বাচন-পূর্ববর্তী অস্বস্তিকে পেছনে ফেলে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতেই ডোনাল্ড লু’র আসন্ন ঢাকা সফর।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর তার প্রথম সফর হবে এটা। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল, এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেননা নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার নিয়মিত কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সব দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চায়।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড লু’র এটাই প্রথম ঢাকা সফর। গত বছরের ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে নানাভাবে তৎপর ছিল। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে শর্তহীন সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন।
/এমএইচ
Leave a reply