বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ এশিয়ার নবম সংস্করণ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ সংস্করণটি প্রকাশিত হয়। এই তালিকায় ৩০ বছরের কম বয়সী এমন ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তা, নেতা ও উদ্ভাবককে তুলে ধরা হয়েছে, যারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে পরিবর্তন আনছেন এবং সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ২০১১ সাল থেকে সাময়িকীটি প্রতি বছর এ তালিকা প্রকাশ করে। গেল কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশি তরুণেরা ধারাবাহিকভাবে এ তালিকায় স্থান করে নিচ্ছেন। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম। জায়গা করে নিয়েছে ৯ বাংলাদেশি তরুণ।
তালিকার শিল্পকলা বিভাগে স্থান পেয়েছেন আনুশা আলমগীর। আনুশা অনলাইন থ্রিফ্ট স্টোর কালার্স ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা। তার ‘পর্দা’ চলচ্চিত্রটি মুসলিমদের পর্দাশীলতার প্রথার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এটি বেশ আলোচিত হয়। তার প্রতিষ্ঠিত অনলাইন থ্রিফ্ট স্টোর হচ্ছে ‘কালার্স ঢাকা’।
কনজ্যুমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে তালিকায় স্থান পেয়েছেন হ্যালোটাস্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী স্মরণ। ‘উবার ফর মেইড সার্ভিস’ হ্যালোটাস্ক প্রতি ঘণ্টায় বুকিং, মাসিক সাবস্ক্রিপশন, তাদের নিয়োগ করা গৃহকর্মীদের যাচাইকরণ এবং শোষণ বা সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। সংস্থাটি বিশ্বব্যাংক ও অক্সফামের অনুদানও পেয়েছে।
মিডিয়া, মার্কেটিং ও অ্যাডভার্টাইজিং ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন রেদোয়ান আহমেদ। তিনি একজন পুরস্কার বিজয়ী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। এএফপির জন্য রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তার কভারেজ তাকে ২২তম হিউম্যান রাইটস প্রেস অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়। স্থানীয় সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য কাজ করা ‘বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা রেদোয়ান।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ‘জাতিক’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা। সুলতান মনি ও মমতাহিনা আনিকা ঢাকাভিত্তিক ফিনটেক স্টার্টআপ জাতিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ‘জাতিক’ মূলত ছোট কোম্পানিগুলোকে অ্যাকাউন্টিং পরিচালনা করতে সাহায্য করার জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সমাধান দেয়। কোম্পানিটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে। গত বছরের আগস্টে ‘জাতিক’ ১৬ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন ফাহাদ আহমেদ। ফাহাদ ‘উইন ডট অ্যাপ’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এটি একটি ক্রস-বর্ডার রেমিট্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেটি দ্রুত এবং সস্তা লেনদেনের জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং স্টেবলকয়েন ব্যবহার করে। ‘উইন্ড ডট অ্যাপ’র আগে ফাহাদ আহমেদ কাজ করেছেন ‘পাঠাও’-এ। তিনি ‘পাঠাও’ এর প্রতিষ্ঠাতা দলের একজন ছিলেন এবং সেখানে তিনি বিভিন্ন পরিষেবা চালু করেছিলেন।
ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন শহীদুল ইসলাম, আবদুল গাফফার সাদী ও মো. তুষার। তার তিনজন মিলে গড়ে তুলেছেন ‘দ্রুতলোন’। রাজধানীভিত্তিক এই স্টার্টআপ কাগজপত্র মূল্যায়ন করে সহজে ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসাদের ঋণ পেতে সহায়তা করে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘দ্রুতলোন’ ২০ লাখ ডলারের বেশি ঋণ বিতরণ করেছে এবং এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে।
/এমএইচআর
Leave a reply