পাঁচ মাসে তৈরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ শুরুর মাস ছয়েক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক ভেন্যু তখনও পর্যন্ত ছিল স্রেফ পার্কের একটি সাধারণ মাঠ। ছিল না উপযুক্ত পিচ, আউটফিল্ড ছিল এবড়োখেবেড়ো। আইজেনহাওয়ার পার্কের সেই মাঠই এখন ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আধুনিক এক স্টেডিয়াম! নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখন বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রায় প্রস্তুত।

আগামী ৩ জুন বাংলাদেশ-ভারত প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা। আগামী ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপের মূল পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

স্প্রিন্ট কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের সাথে মাঠ উদ্বোধনের দিনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য খেলার তারকারা। এই মাঠেই ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। অস্থায়ী এই স্টেডিয়ামে মোট ম্যাচ হবে ৮টি। এই মাঠে একসাথে খেলা দেখতে পারবে ৩৪ হাজার দর্শক।

নিউইয়র্কের মূল শহর থেকে ২৫ মাইল বা ৪০.২ কিলোমিটার দূরে এ ভেন্যুর অবস্থান। বলা হচ্ছে, এটিই ক্রিকেটের প্রথম ‘মডিউলার’ স্টেডিয়াম। মাঠের পিচ আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে। স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ অংশই তৈরি হয়েছে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। যার ফলে চাইলেই এই স্থাপত্যকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতেও নিয়ে যাওয়া যায়।

এবারের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রে যে ১৬টি ম্যাচ হবে, এর মধ্যে ৮টিই হবে এই নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বে ভারতের ৩টি ম্যাচ আছে এই মাঠে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে ভাবনায় রেখেই উপমহাদেশের দলগুলির ম্যাচ বেশি রাখা হয়েছে নিউইয়র্কের এই ভেন্যুতে।

উদ্বোধনী আয়োজনে বোল্টসহ অন্য তারকারা বিশাল একটি ব্যাটে অটোগ্রাফ দেন। দৈত্যাকৃতির ব্যাটটি প্রদর্শনের জন্য মাঠে রাখা হবে বিশ্বকাপজুড়েই।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply