আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ

|

অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় সঙ্কটের নাম মূল্যস্ফীতি। গত কয়েকমাস ধরেই তা দুই অঙ্কের আশেপাশে। নানা উদ্যোগেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে বেশিরভাগ নিত্য পণ্য। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

অর্থনীতি সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলেনে আজ শনিবার (১৮ মে) এক সেমিনারে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিম্ন আয়ের অনেকেই মূল্যস্ফীতির চাপে শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

অর্থনীতিবিদ ড. আজিজুর রহমান বলেন, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা তাদের খরচ কমিয়ে দিয়েছে। উচ্চ মধ্যবিত্তরা সঞ্চয় করতে পারছেন না। পূর্বে সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে তারা।

সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, সবসময় বেশি পরিমাণে পণ্যের সঙ্কট থাকলে চাহিদা ব্যবস্থাপনা দিয়ে পূরণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে যোগানের দিকটিও বিবেচনা করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পণ্যের উত্তপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিআইবিএম’র সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, এক্ষেত্রে সারা বিশ্বে কিছু নির্ধারিত নীতি রয়েছে। এছাড়া দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নীতির কিছুটা পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু ‘আউট অব দ্য বক্স’ কোনো নীতি গ্রহণ করা উচিৎ নয়।

শুধুমাত্র চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরবরাহ বাড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। একই সাথে মুদ্রানীতির সাথে আর্থিক নীতির সমন্বয় জরুরি বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply