পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে ৬৫ বছরের বৃদ্ধা সাফিয়া হত্যার ঘাতক নাতি মেহেদি হাসান মান্নাকে (১৮) ২৪ ঘন্টার মাথায় বাউফল উপজেলার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। ঘটনার ১৫-২০দিন আগে মামাতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়ার রেশ ধরে গত ২৮ অক্টোবর সকালে নানীর সাথে মান্নার কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইট দিয়ে স্বজোরে নানীকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই নানী সাফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান।
গ্রেপ্তারকৃত মান্নার বরাদ দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ১৫-২০দিন আগে মান্নার মামাতো ভাই আমিনুলের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। তখন আমিনুল ইট দিয়ে মান্নাকে আঘাত করে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত ২৮ অক্টোবর সকালে মান্না তার নানী সাফিয়া বেগমের কাছে নালিশ করে। এ সময়ে নানী আর নাতির সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে মান্না স্বজোরে ইট দিয়ে নানীর মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই নানীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ওই দিনই বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮ তারিখ ২৯.১০.১৮ইং।
পুলিশ সুপার আরো জানান, সাফিয়াকে হত্যার পর ঘাতক মান্না নিহতের কানের দুল এবং নগদ ২৩০০টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মান্নার কথা অনুযায়ী বাউফল উপজেলার কালাইয়া বাজারের নারায়ণ চন্দ্র মন্ডলের স্বর্ণের দোকান থেকে নিহতের কানের দুল উদ্ধার এবং এক হাজার টাকা তার সাথে পাওয়া যায়। এসময় ঘটনার সময় ব্যবহৃত রক্ত মাখা ইটও জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর বিকাল চারটা ১০মিনিটের সময় স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে বাউফল থানার ডিউটি অফিসারকে জানান যে, বাউফল থানার পিছনে গার্লস স্কুলের পাশের একটি বাড়িতে একজন বৃদ্ধ মহিলার লাশ পাওয়া গেছে।
এরপর বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসানের প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনা ও সার্বিক তদারকিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা ঘাতক মান্নাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
Leave a reply