ভরা মৌসুমে অবশেষে মিলছে চালের দাম কমার আভাস। গত দুই সপ্তাহে, কেজিতে দর কমেছে প্রায় ১০ ভাগ। ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলগেটে দর কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে। যদিও খুশি নন ক্রেতারা।
বাজারে নতুন ধান। বাম্পার ফলনের আমেজ। সবশেষ দুই মৌসুমে যোগান নিয়ে কোনো সংকট নেই। তারপরও দাম নিয়ে অভিযোগ কাটছে না। ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ার খবর মিলেছে অহরহ।
তবে এবার দামের পালে হাওয়া বদলেছে। গত দুই সপ্তাহে সব ধরনের চালের দর কমেছে বস্তা প্রতি প্রায় ২০০ টাকা। তার মানে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে, মিনিকেট মিলছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকায়। ৭০ টাকার নিচে নেমেছে নাজিরশাইলের কেজি। সবচেয়ে বেশি দর কমেছে মোটা চালের। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, এ দাম কাঙ্ক্ষিত নয়।
সরকারি হিসেবে, গত ১ বছরে মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সরু চালের দাম বৃদ্ধির হার এর অর্ধেক। ভরা মৌসুমে দাম বৃদ্ধির অভিযোগের তীর মিলারদের দিকে। কারসাজি বন্ধে চালের বস্তায় দাম ও জাত লেখার নির্দেশ থাকলেও, তা মানা হচ্ছে না অনেক এলাকায়। যদিও মিলারদের দাবি, বছরের এই সময়ে মোট উৎপাদির ধানের প্রায় ৬০ ভাগ বেচাকেনা হয়।
মোস্তফা অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা বলেন, নর্থবেঙ্গলে প্রায় ৭-৮টা বড় বড় গ্রুপ আছে। তারাই চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। জনগণ তাদের কাছে জিম্মি। তারা জানিয়ে দেয় আগামী ১ সপ্তাহ আমরা এই দামে চাল বিক্রি করবো।
চলতি অর্থবছরে বোরো মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে ২০ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন ধান। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি।
এটিএম/
Leave a reply