সবার আগে ফাইনালে কলকাতা

|

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) এবারের আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সানরাজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠলো কেকেআর।

মঙ্গলবার (২১ মে) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারটি দেখেশুনে খেলেন কলকাতার ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। ওভারে আসে ৬ রান। দ্বিতীয় ওভারে দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান কলকাতার দুই ওপেনার। সেই ওভারে আসে ২০ রান। তৃতীয় ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার মারেন গুরবাজ। এতে তিন ওভারে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৪৪ রান। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে নটরাজনের বলে ব্যক্তিগত ২৩ সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ। এরপর ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও সুনীল নারিনের ব্যাটে কলকাতার রানের চাকা ঘুরতে থাকে। পাওয়ার প্লে শেষে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৬৩ রান। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্যাট কামিন্সের বলে ব্যক্তিগত ২১ আউট হন সুনীল নারাইন।

পরের গল্পটা শুধু ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ারের। এই দুই ব্যাটার মিলে এরপরের ৪৪ বলের মধ্যে ১৫টি বল সীমানা ছাড়া করেন। এরমধ্যে ৮টি ছক্কা ও ৭টি চারের মার ছিল। এতে ৩৮টি বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শ্রেয়াস আইয়ার। ইনিংসটি তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান। ভেঙ্কটেশ আইয়ার করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান। তিনিও ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেন স্টার্ক। কোনো রান না করেই স্বদেশীর বলে সাজঘরে ফেরেন হেড। হায়দরাবাদের আরেক পাওয়ার হিটার ওপেনার অভিষেক শর্মাকে ফেরান ভৈভব অরোরা। চার বলে তিন রান করে আন্দ্রে রাসেলের তালুবন্দি হন অভিষেক। ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ।

এরপর রাহুল ত্রিপাঠি ও নিতিশ কুমার যখন ইনিংস মেরামতে নজর দিচ্ছিলেন, তখন ফের আঘাত হানেন স্টার্ক। পরপর দুই বলে নিতিশ ও শাহবাজ আহমেদকে সাজঘরে পাঠান স্টার্ক। ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারাতেই পড়ে যায় হায়দরাবাদ।পঞ্চম উইকেট জুটিতে হায়দরাবাদকে পথ দেখান হেনরিখ ক্লাসেন ও ত্রিপাঠি। দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ২১ বলে ৩২ করে আউট হন ক্লাসেন। ৩৫ বলে ৫৫ রান করে রানআউটের শিকার হন ত্রিপাঠি। শেষ দিকে একা লড়াই করেছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ২০ তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন কামিন্স। এর মধ্য দিতে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় দলটি।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply