ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) এবারের আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে (আরসিবি) ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইলো রাজস্থান রয়্যালস।
বুধবার (২২ মে) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে এক ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
১৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার কিছুটা দেখেশুনে খেলেন রাজস্থানের দুই ওপেনার ইয়াশাসভি জায়সওয়াল ও টম কোহলার ক্যাডমোর। প্রথম দুই ওভারে আসে মাত্র ৪ রান। তৃতীয় ওভারে ৪টি চার হাঁকান ওপেনার জায়সওয়াল। চতুর্থ ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান দুই ওপেনার। এর মধ্যে দুইটি মারেন ক্যাডমোর। পঞ্চম ওভারেও সমানতালে চলতে থাকে ক্যাডমোরের ব্যাট। এই ওভারেও দুইটি চার হাঁকান তিনি। পাঁচ ওভারে রাজস্থানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৫ রান। ষষ্ঠ ওভারের ফার্গুসনের ইয়োর্কারে কাটা পড়েন ক্যাডমোর। ব্যক্তিগত ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর সাঞ্জু স্যামসন ও জায়সওয়াল মিলে রাজস্থানের রানের চাকা সচল রাখেন। দুইজনের মিলে ৩৬ রানের পার্টনারশীপ গড়েন। দশম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ক্যামেরুন গ্রীনের বলে আউট হন ওপেনার জায়সওয়াল। আটটি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। দশন ওভারে রাজস্থানের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ৮৫ রান।
এগারতম ওভারের প্রথম বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাঞ্জু স্যামসনও সাজঘরের পথ ধরেন। এরপর এই ওভারেই দুটি চার হাঁকিয়ে চাপ কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন রায়ান পরাগ ও ধ্রুব জুরেল। পরের ওভারে আসে মাত্র ২ রান। তেরোতম ওভারে একটি ছক্কাসহ ১১ রান নেন এই দুই ব্যাটার। চৌদ্দতম ওভারে গ্রিনের বলে আউট হন রায়ান পরাগ।
পনেরোতম ওভারে সিমরন হেটমায়ার ও রায়ান পরাগ মিলে স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করেন। পরের ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চারে ১৭ রান নেন এই দুই ব্যাটার। জয়ের জন্য তখন চার ওভারে ৩০ রান দরকার রাজস্থানের। ১৭ তম ওভারে দুটি চার মারেন সিমরন হেটমায়ার। এই ওভারে আসে ১১ রান। আঠারোতম ওভারে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সিমরন হেটমায়ার ও ব্যক্তিগত ৩৬ রানে রায়ান পরাগ আউট হলেও চাপে পড়েনি রাজস্থান। ম্যাচ জিততে দুই ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজন রাজস্থানের। এটুকু পথ রাজস্থানকে একাই টেনে নেন রবম্যান পাওয়েল। এক ওভারেই দুটি চার ও একটি ছক্কার মারে ১৪ রান তুলে নেন তিনি। এতে এক ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় পায় রাজস্থান রয়্যালস।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ভিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৩৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বেঙ্গালুরুর। ব্যক্তিগত ১৭ রানে বোল্টের বলে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি কোহলিও। ৩৩ রানে চাহালের বলে তিনিও ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ক্যামেরন গ্রিন আর রজত পাতিদার মিলে গড়েন ৪১ রানের নতুন জুটি।
দলীয় ৯৭ রানে অশ্বিনের বলে পাওয়েলের তালুবন্দি হয়ে ক্রিজ ছাড়েন গ্রিন। নতুন ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট হাসেনি এদিন। মাত্র এক বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ পর্যন্ত মহিপালের ৩২, দীনেশ কার্তিকের ১১ রানে ভর করে ১৭২ রানে শেষ হয় বেঙ্গালুরুর ইনিংস।
/আরএইচ
Leave a reply