প্রেসিডেন্ট রইসির দাফনের মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখলো ইরান। নতুন এ যাত্রা কেমন হবে তেহরানের- তা নিয়ে এরইমধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষণ। ইতোমধ্যে ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কিংবা সর্বোচ্চ নেতা কে হবেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কিংবা সর্বোচ্চ নেতা মেলানোর অঙ্ক বেশি জটিল হবে না। বড় কোনো ধাক্কাও খাবে না দেশটির পররাষ্ট্র নীতি। অপরিবর্তিত থাকবে দেশটির অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও।
প্রেসিডেন্ট রইসির মৃত্যুর চার দিন পেরিয়ে গেছে। অলিগলিতে এখনও চলছে শোকের মাতম। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তাছাড়া এই সময়ের মধ্যেই রয়েছে প্রয়াত সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুলুল্লাহ খোমেনি’র ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীও।
তবে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মাদ মোখবার ছাড়াও নাম আসছে পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ-বাঘের কালিবাফ, সাবেক স্পিকার আলী লারিজানি এবং সাবেক পারমাণবিক প্রধান আলী-আকবর সালেহির। এ তালিকায় নাম আছে রাইসির স্ত্রী, জামেলেহ আলামলহোদারও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেকের নাম এলেও কট্টরপন্থি কেউই যে গদীনসীন হতে যাচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত।
জল্পনা শুরু হয়েছে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা নিয়েও। আলি খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে রইসিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিলো। তবে এখন শোনা যাচ্ছে আলী খামেনির পুত্র মোজতবা খামেনির নামও। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতৃত্বে যেই আসুক, খামেনির নীতি বা ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
/এমএইচ
Leave a reply