কাঠগড়ায় কাঁদলেন সিলিস্তি, আদালতে ঢুকেন মুখ লুকিয়ে

|

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতারকৃত সিলিস্তি রহমান কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা তিনি অঝোরে কান্না করেন।

এর আগে, আদালতে তোলার সময় দেখা যায়, সিলিস্তি রহমান দুই নারী পুলিশের কাঁধে মুখ লুকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আদালতে যান। তখন তিনি মুখে মাস্ক পরে ছিলেন।

কান্নার আগে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ওই বাসায় আমি ছিলাম। কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমাকে কেন গ্রেফতার করা হলো। এরপরই সিলিস্তি রহমান অঝোরে কান্না করেন।

সিলিস্তি রহমানসহ গ্রেফতার তিন আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অপর দুই আসামি হলেন হলেন, আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ও ফয়সাল আলী সাজি।

এদিকে, এই ঘটনায় ভারতে গ্রেফতার হওয়া জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে দেশটির একটি আদালত। শুক্রবার (২৪ মে) উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের একটি আদালত এই আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত বুধবার (২২ মে) জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার এজাহারে তার মেয়ে উল্লেখ করা হয়, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহর কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply