গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকেই জোরালো হতে থাকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইস্যুটি। তবে ইসরায়েলি ক্ষোভ আর হুমকি উপেক্ষা করেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। মঙ্গলবার (২৮ মে) এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ইউরোপের তিন দেশ।
বিবৃতিতে স্পেন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ইস্যুতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভায়। সেখানেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। একই সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসে নরওয়ের পক্ষ থেকেও। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র মর্যাদার স্বীকৃতির কথা জানায় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রিসভাও।
এ প্রসঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে অবশ্যই গাজা ও পশ্চিম তীর থাকতে হবে। এর পাশাপাশি ২টি অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে এমন করিডোর থাকতে হবে। পূর্ব জেরুজালেম হবে এর রাজধানী।
ফিলিস্তিনে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মেরি সেডিন বলেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য এটা আমাদের জন্য নতুন আশা। এর ফলে গাজায় বন্ধ হবে আগ্রাসন। অধিকার ফিরে পাবে সেখানকার সাধারণ মানুষ।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। ২৭ জাতির ‘ইইউ’র সদস্য সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ।
/এএম
Leave a reply