মূল্যস্ফীতির চাপে মিলছে না আয়-ব্যয়ের হিসেব, সমাধান কী?

|

রিমন রহমান:

কঠিন সময় পার করছে স্বল্প আয়ের মানুষ। ব্যয়ের চাপে যেন ‘চিড়ে চ্যাপ্টা’ অবস্থা তাদের। ঘুম ভাঙলেই আতঙ্ক! এই বুঝি নতুন কোনো পণ্যের দাম বাড়লো। মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় হচ্ছে বেশি। কেউ কেউ সংসার চালাতে চাহিদায় লাগাম টানছেন। কেউবা ভাঙছেন সঞ্চয়। আবার কেউ কেউ ঋণগ্রস্থও হয়ে পড়ছেন।

রাজধানীর একজন বাসিন্দা বলেন, মধ্যবিত্তদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অপর একজন বলেন, প্রতিদিনই পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকের দামের সাথে আগামীকালের দাম মেলে না।

দীর্ঘদিন ধরে এমন সংকটময় অবস্থা চলছে। বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৯ শতাংশ। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় সাড়ে ১০ ভাগ। অথচ চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরে সরকার।

বছরঘুরে আবার এসেছে বাজেট। বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ গুরুত্ব পাবে। জনগণকে স্বস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে সরকার। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কি ধরণের নীতি দরকার?

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে মুদ্রানীতি এককভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এখন আমরা বাজার অর্থনীতিতে বসবাস করি। সুতরাং এখানে বাজার সবকিছু নির্ধারিত করবে। তবে বাজরকে একটি কাঠামোর নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।

এখনও আমদানি নির্ভর খাদ্যপণ্যে উচ্চহারে কর বিদ্যমান রয়েছে। শুল্ক কমিয়ে মূল্যের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এই প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিত্যপণ্যের ওপর কর থাকা উচিত নয়। উন্নত বিশ্বেও এটি নেই। তবে প্রক্রিয়াজাত ও দামি খাদ্যের বিষয়টি ব্যতিক্রম। সাধারণ মানুষের চাহিদাকৃত পণ্যের ওপর কর বসতে পারে না। এটি হলে সরকার কী জন্য রয়েছে, এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

এদিকে পণ্যমূল্য সহনীয় করতে বাজেটে সুনিদিষ্ট পদক্ষেপ তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার কথাও জানান তিনি।

নিত্যপণ্যের দামের লাগাম টানতে সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি নিম্নবিত্ত শ্রেণিকে সহায়তা দিতে হবে।

আরএইচ/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply