এমপি আনার হত্যা: আসামিদের ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান করবে ডিবি

|

খুনের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার ও পলাতক দশ আসামির ব্যাংক হিসাবের অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এজন্য অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে আজ সোমবার (৩ জুন) মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত ডিবির আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার-পলাতক আসামিদের এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টা অ্যাকাউন্ট আছে, এর তথ্য সরবরাহের জন্য হেড অব বাংলাদেশ, এফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) বরাবর আদেশ প্রদান করতে আদালতের সদয় মর্জি হয়।

এই মামলার আসামিরা হলেন শিমুল ভূইয়া, সিলিস্তি রহমান, তানভীর ভূইয়া, আক্তারুজ্জামান শাহীন, মো. সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজী, চেলসি চেরী, তাজ মোহাম্মদ খান ও মো. জামাল হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওইদিন বুধবার রাতেই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার এজাহারে তার মেয়ে উল্লেখ করা হয়, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো।

এই ঘটনায় ভারতে গ্রেফতার হওয়া জিহাদকে গত ২৪ মে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের একটি আদালত ১২ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। অপরদিকে, দেশে গ্রেফতার তিন আসামি শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ও সিলিস্তি রহমানকে দুই দফায় রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। প্রথম দফায় আটদিন এবং গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় তাদেরকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এমপি আনার হত্যা তদন্তে ডিবির একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছেন। এর আগে ডিবির একটি দল একই উদ্দেশে কলকাতায় যায়। সেখান থেকে ফিরে এ খুনের ঘটনা তদন্তে বেশ অগ্রগতির কথা জানান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply