এভাবেও ফিরে আসা যায়, দেখালেন রাহুল গান্ধি

|

কেউ ডেকেছেন ‘পাপ্পু’ বলে। আবার কেউ উপহাস করেছেন ‘টিউবলাইট’ বলে। ঠাট্টা করে দেয়া হয়েছে ‘শাহজাদা’ তকমাও। বছরের পর বছর এমন ক্রমাগত কটাক্ষের শিকার হয়েছেন রাহুল গান্ধি। সামান্য ছুতো পেলেই কংগ্রেসের এই নেতাকে অপমান করতে ছাড়েননি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা।

তবে এই রাহুল গান্ধিই যে একদিন হয়ে উঠবেন আতঙ্কের নাম, তা হয়তো কখনোই ভাবেননি বিজেপি নেতৃবৃন্দ। ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পক্ষে-বিপক্ষের সবাই মানছেন, রাহুল গান্ধি এখন ঝানু রাজনীতিবিদ। রাহুল গান্ধির ‘ইনডিয়া’ জোটের ঝুলিতে এসেছে ২৩৩ আসন,। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ‘ইউপিএ’ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।

ধর্মকে এজেন্ডা বানিয়ে মোদি যখন ব্যস্ত ছিল নির্বাচনী প্রচারণায়, রাহুল তখন ছুটেছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। যাত্রাসঙ্গী বানিয়েছেন সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে। তার প্রতিদানই হয়তো দিয়েছে দেশের জনগণ। নিজ নিজ আসনে জয়ী হলেও মোদির চেয়ে ভোট বেশি রাহুলের। শুধু তাই নয়, মোদির চেয়ে তিনগুণেরও বেশি ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে এনেছেন রাহুল।

অভিযোগ ছিল, দল গোছাতে পারেন না রাহুল। পারেন না জোট সামলাতে। এসবের বিরুদ্ধে একটিও কথা বলেননি তিনি। শুধু হেঁটে গেছেন লক্ষ্যে। তার সঙ্গে হেঁটেছে হাজার হাজার মানুষ। ভারত জোড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তাতেই সফলতা মিলেছে। বিশেষত তরুণ ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন এই কংগ্রেস তারকা।

সফলতার আরেক কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে সমন্বয় এবং নেতৃত্বে সক্ষমতার জন্য। দলের সভাপতির পদ ছাড়লেও এখনও ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে আইকন হিসেবেই বিরাজমান গান্ধী পরিবারের এই উত্তরাধিকারী।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply