আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন তানজিম সাকিব

|

ছবি: সংগৃহীত

চেষ্টা এবং নিজের প্রতি শতভাগ বিশ্বাস থাকলে জীবনে সফলতা পাওয়া যায়। সেটার প্রমানই হয়তো পাচ্ছেন তানজিন হাসান সাকিব। যিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জুনিয়র সাকিব হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ তারুণ্যনির্ভর দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সেই দলের অন্যতম সদস্য জুনিয়র সাকিব। শেষ সময়ে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার।

যুব বিশ্বকাপ জয়ী সাকিবের বিশ্বকাপ দলে জায়গা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয় নি। বিশেষ করে তার জন্য জায়গা হারান আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে নির্বাচকরা অনুভব করেছিলেন বিশ্বকাপে তানজিম আরও আক্রমণাত্মক এবং ফলস্বরূপ হবে সাইফদ্দিনের থেকে। সব বিবেচনা করে বিশ্বকাপ দলে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলামের সাথে স্কোয়াডের চতুর্থ পেস বোলার হিসাবে জুনিয়ার সাকিবের ওপর আস্থা রেখেছিলেন নির্বাচকরা।

তানজিম নিজেকে ভাগ্যবান দাবি করতে পারেন কারণ, ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে শরিফুল ইসলামের ইনজুরির কারণে একাদশে জায়গা পেয়ে যান। এই পেসার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ আটো-সাটো বোলিং করেছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচক প্যানেলের বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছেন। তানজিম সঠিক লাইন এবং লেন্থ বজায় রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ-অর্ডারকে গুড়িয়ে দিয়েছেন। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি এই পেসার, পাওয়ার-প্লেতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। পরিশেষে ১৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং কোটা পূরণ করেন জুনিয়র সাকিব।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় দলে তানজিম সাকিবের আগমণ খুব বেশি দিনের নয়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে মাত্র ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডানহাতি পেসার। তবে এই ১৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারেই তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই তরুণ ক্রিকেটার এবার দাপট দেখালেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। গত বছরের এশিয়া কাপ দিয়ে ওয়ানডে এবং একই বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় তার।

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে তানজিম বলেছেন, আমার নির্বাচনের ন্যায্যতা দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার কাজ হলো পারফর্ম করা এবং যখনই নির্বাচকরা আমাকে সুযোগ দেবেন তখনই আমি সেখানে পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। আমি কোনও স্তর নিয়ে ভাবি না, কারণ আমি যে কোনও জায়গায় পারফর্ম করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, আমি এই বিশ্বকাপে প্রতিটি বলে আমার সেরাটা দেয়ার প্রস্ততি নিয়েছি। আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যদি আমি ২৪টি বল করার সুযোগ পাই তবে ২৪ টি ডেলিভারিই আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা থাকবে।

/ওয়াইবি/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply