আরেকটি ইউরো জেতার জন্য নিজের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিতে চান রোনালদো

|

জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য এবারের উয়েফা ইউরোর দলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে রেখেছে পর্তুগাল। এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ছয়বার অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। রেকর্ড ছোঁয়া আসরে খেলতে মুখিয়ে আছেন ফুটবলের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।

রোলানদোর বর্তমান বয়স ৩৯। তবে তার কাছে এটা যেন কেবলই একটা সংখ্যা। মাঠের পারফরম্যান্সে এর ছাপ পড়তে দেন না তিনি মোটেও। তার বয়সের বেশিরভাগই যখন ফুটবলকেই বিদায় বলে দিয়েছেন, সেখানে তিনি পর্তুগালের হয়ে আসছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাচ্ছেন মূল ভরসাদের একজন হয়ে। এই বয়সেও জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাকে বড় এক উপহার হিসেবে দেখছেন পর্তুগিজ এই মহাতারকা।

ইউরোর মূল লড়াইয়ে নামার আগে মঙ্গলবার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে পর্তুগাল। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারানোর ম্যাচে জোড়া গোল করেন রোনালদো। বার্তা দেন, এখনও ফুরিয়ে যান নি তিনি।

সেই ম্যাচে জালের দেখা পেয়ে অনন্য এক রেকর্ডও গড়েন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে টানা ২১ পঞ্জিকাবর্ষে গোলের কীর্তি গড়েন তিনি। পর্তুগাল মূল দলের হয়ে তার অভিষেক ২০০৩ সালে, পরের বছর পান প্রথম গোলের দেখা, সেই থেকে গোল করেছেন প্রতি বছর। জাতীয় দলের হয়ে রেকর্ড ১৩০টি গোল করা রোনালদো বলেন, এই বয়সে খেলতে পারাকেই অনেক বড় পাওয়া হিসেবে দেখেন তিনি। সেখানে এবারের ইউরো জিততে পারা তো হবে তার জন্য স্বপ্নের মতো।

রোনালদো বলেন, জানি ফুটবলে আমার খুব বেশি বছর বাকি নেই। বছরের পর বছর ধরে, ৩৫ বছর বয়সের পরও খেলতে পারা একটা উপহার। আমার বয়স ৩৯ এবং প্রতিটি বছরই আমার কাছে নিজেকে উপভোগ করার। জাতীয় দলের হয়ে গোল করা বিশেষ কিছু। জাতীয় দল আমার জীবনের ভালোবাসা, ইউরো জেতা হবে স্বপ্নের মতো। ইউরোতে দলের সাহায্যে কোচের যেকোনো সিদ্ধান্ত স্বাদরে মেনে নিতে তৈরি তিনি। তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি ভালো অবস্থায় আছি। আমি প্রস্তুত, সবসময় সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকি, আমি শতভাগ পেশাদার। ইউরোতে দেশকে সাহায্য করতে এবং কোচের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে আমি সব সময়ের মতোই প্রস্তুত থাকব।

ক্যারিয়ারে আরেকটি ইউরো জেতার জন্য নিজের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিতে চান সিআর সেভেন। বলেন, ভাবনা সেটাই (ইউরো জেতা) হতে হবে, ইতিবাচক থাকতে হবে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। স্বপ্ন দেখতে কিছু লাগে না, আর এই দলের স্বপ্ন দেখার প্রতিভা রয়েছে। পরিশ্রম ছাড়া কিছুই অর্জন করা যায় না, আমাদের পরিশ্রম করতে হবে এবং লড়াই করতে হবে।

প্রসঙ্গত, মার্তিনেসের কোচিংয়ে এবারের ইউরোর ফেভারিট দলগুলোর একটি মনে করা হচ্ছে পর্তুগালকে। রোনালদোও মনে করছেন, কঠোর পরিশ্রম করে যেতে পারলে ২০১৬ সালের পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply