এমপি আনার হত্যা: ৮ দিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেতা মিন্টু

|

বা থেকে সাইদুল করিম মিন্টু ও আনোয়ারুল আজীম আনার।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।

আনার হত্যায় মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে এবং তদন্তে তার কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে জানিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত ১১ জুন ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে মিন্টুকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

পুলিশ জানায়, এমপি আনারের হত্যার কথা জেনেও পুলিশকে না জানানো, আসামিদের মোবাইল গায়েব করা এবং টাকা দিতে চাওয়ায় মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আনারের সাথে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার কথা জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু স্বীকার করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের এক নেতার সাথে শিমুল ভূইয়া দেখা করেছেন। মিন্টুর প্রতিনিধি বাবুর সাথে শিমুলের একাধিকবার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে বাবু ও মিন্টুকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে গত ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ। পরে ওইদিন রাতেই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এরপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।

গত ২৮ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। ধারণা করা হচ্ছে, তা এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশ। পরে গত ৯ জুন সকালে কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি হাড়।

/আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply