গ্রুপ পর্বের আগের ম্যাচগুলোতে দাপটের সাথে জয় ছিনিয়ে নেয়া আফগানরা পাত্তাই পেলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে আফগানিস্তান।
এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২১৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রীতিমতো আফগান বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছে দলটির উইকেটকিপার ব্যাটার পুরান। মাত্র ৫৩ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৮ রানে রান আউটের ফাঁদে পরে আউট হন এই ব্যাটার। ২৭ বলে ৪৩ রান করেন জনসন চার্লস। এ জয়ে গ্রুপ সি’তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে উঠলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তানও।
২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরু দরকার ছিলো আফগানদের। তবে আফগানিস্তানকে ঝোড়ো শুরু এনে দিতে পারতেন যিনি, সেই রহমানউল্লাহ গুরবাজ আজ ফিরেছেন প্রথম ওভারেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন বলের ভরসা স্পিনার আকিল হোসেনের বলে কোনো রান না করেই ফেরেন গুরবাজ। তার উইকেট হারিয়ে প্রথম ৬ ওভারে আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৪৫ রান। এরপর অষ্টম ওভারে ইব্রাহিম জাদরান ৩৮ রানে আউট হলে একের পর উইকেট পড়তে থাকে আফগানদের। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১৬ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ৫ ওভারেই ৮৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ারপ্লেতে রান ওঠে ৯২। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শুরুতেই ব্রেন্ডন কিং ফিরলে কাজটা করেন ওপেনার জনসন চার্লস ও তিন নম্বরে উইকেটে আসা নিকোলাস পুরান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের এক ওভারে ৩৬ রান তোলেন পুরান। যদিও ৬ বলে ৬ ছক্কা হয়নি, ৩৬ রানের ওভারে লেগ বাই, ওয়াইড ও নো বলের অবদান ছিল।
২৭ বলে ৪৩ রান করে ইনিংসের অষ্টম ওভারে আউট হন চার্লস। প্রথম ৫ ওভারে ওভারপ্রতি ১৭ রান করে তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরের ১০ ওভারে রান তোলে মাত্র ৬৩। সেটা অবশ্য তারা আবার পুষিয়ে দেয় ইনিংসের শেষ ৫ ওভারে। ১৬ থেকে ২০, এই ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ৭০ রান। এখানেও ঝড় তোলার দায়িত্বটা পালন করেন সেই পুরানই।
/এমএইচ
Leave a reply