এমপি আনার হত্যা: কসাই জিহাদ ও সিয়ামকে জেল হেফাজতে পাঠালো বারাসাত আদালত

|

ফাইল ছবি

সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা করেসপনডেন্ট:

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় ভারতের সিআইডির হাতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত জিয়াদ হাওলাদারের ১৪ দিন ও সিয়াম হোসেনকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত জেলার মুখ্য দায়রা আদালত।

শুক্রবার (২১ জুন) চৌদ্দ দিনের সিআইডি হেফাজত শেষে জিয়াদ হাওলাদারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে নিরাপত্তার কারণে জিয়াদ হাওলাদারকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাসাত আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলে। একই মামলায় গ্রেফতার আরেক অভিযুক্ত সিয়াম হোসেনের ১৪ দিনের সিআইডি রিমান্ড শেষে শনিবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়। বিচারক সিয়ামকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৫ জুলাই ফের তাকে আদালতে তোলা হবে। একইদিন কসাই জিহাদকেও আদালতে তোলা হবে।

এদিকে, সিয়ামকে বারাসাত আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকরা তাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তাকে যখন আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামানো হয়, তখন এক সাংবাদিক পাশ থেকে প্রশ্ন করেন, সিয়াম কিছু বলবে? কেন তুমি খুন করেছিলে? তবে সে কোনো জবাব দেয়নি। পুলিশও তাকে দ্রুত হাঁটিয়ে আদালতের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।

গত ৭ জুন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য প্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা) সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সঞ্জীবা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে এমপি আনার খুন ও খণ্ড-বিখণ্ড লাশ লোপাটের কাজে যুক্ত ছিলেন এই সিয়াম। নিউটাউনের অভিজাত ওই সঞ্জীভা গার্ডেনের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে তাতেও সিয়ামকে দেখা যায়।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply