কাঠগড়ায় মাহমুদউল্লাহর ‘জ্ঞানহীন’ ব্যাটিং

|

ছবি: সংগৃহীত

রাকিবুল ইসলাম মিতুল:

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। ১১৬ রান তাড়ায় ১২.১ ওভারে জিতলে অভাবনীয়ভাবে সেমিফাইনালে উঠতো টাইগাররা বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে প্রয়োজন ছিল আগ্রাসী ব্যাটিং। লিটন দাস শুরুতে ঝড়ের আভাস দিলেও পাওয়ারপ্লে শেষেই হটাৎ ‘দায়িত্ব জ্ঞানহীন’ ক্রিকেট খেলতে থাকে বাংলাদেশ।

এক পর্যায়ে সেমির টিকেট কাটতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৯ বলে ৪২ রান ক্রিজে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে সমীকরণে হরহামেশাই ম্যাচ জিতে বিশ ওভারের ক্রিকেটে। নূর আহমেদের করা ওই ওভারে ৫টি বল ডট দেন মাহমুদউল্লাহ বাকি বলটি বাউন্ডারিতে পরিণত করেন তিনি। মূলত এই ওভারেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। মাহমুদউল্লাহ যেভাবে নূরের বল ডিফেন্স করতে ছিল তা একদমই দৃষ্টিকটু। রিয়াদের ব্যাটিংত অ্যাপ্রোচ দেখে যে কেউ মনে করবে তার মধ্যে জয়ের কোনো তাড়নায় ছিল না।

বিশ্বের সেরা স্পিনাররা একসঙ্গে বল করলেও সেই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো ব্যাটার বোধহয় ৫ বল ডট দেবেন না। অথচ বাংলাদেশ দলের সেরা ফিনিশার যাকে বলা হয়, সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫ বলে রান নিতে পারলেন না প্রতিপক্ষের নবীন এক স্পিনারের বলে। কারণ, টাইগারদের ভাবনায় তখন সেমিফাইনাল নেই, টাইগাররা ভেবেছেন কোনোরকমে জিততে পারলেই হলো।

পরের ওভারে রশিদ খানের বলেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলেছেন রয়েসয়ে। সেই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হন ৯ বলে ৬ রান করে। মাহমুদউল্লাহর এমন ইনিংসেই মূলত শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালের স্বপ্ন। সেই ওভারের শেষ বলে আউট হন রিশাদ হোসেনও।

সেমিফাইনালের স্বপ্ন এক সময় বেশ বাস্তব ছিল বাংলাদেশের। সেটি হয়নি। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের কাছে হেরেই বসেছে নাজমুল হোসেনের দল। সুপার এইটে জয়শূন্য থেকেই তাই দেশে ফিরতে হচ্ছে টাইগারদের। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকেও, তাতে করে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। জন্ম দিয়েছে নতুন এক রুপকথা গল্প।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply