আনার হত্যা: মিন্টুর পরামর্শে ৩টি মোবাইল নালায় ফেলে দেন গ্যাস বাবু

|

এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুু তার তিনটি মোবাইল নালায় ফেলে দিয়েছেন। তাই আলামত উদ্ধারে গ্যাস বাবুকে নিয়ে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের টিম নালায় ফেলে দেয়া মোবাইল উদ্ধারে চেষ্টা করছে।

তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর পরামর্শে গ্যাস বাবু তার মোবাইল নালায় ফেলে দেয়। এসব মোবাইলে এমপি আনার হত্যার আগে-পরের বিভিন্ন টেক্সট ও ফুটেজ আছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, এমপি আনার হত্যায় আরও অন্তত ৭ জন গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে বলে জানানো হয়। তারা সবাই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা যায়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে গত ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এই মামলার আসামিরা হলেন শিমুল ভূইয়া, সিলিস্তি রহমান, তানভীর ভূইয়া, আক্তারুজ্জামান শাহীন, মো. সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজী, চেলসি চেরী, তাজ মোহাম্মদ খান ও মো. জামাল হোসেন।

এরপর, গত ২৮ মে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। ধারণা করা হচ্ছে, তা এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস। পরে গত ৯ জুন কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু হাড়ও।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply