সিলেট অঞ্চলের ৭৫ ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত। দীর্ঘস্থায়ী এ বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ১ লাখ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী পড়েছেন বিপদে। বন্যার কারণে ৯ জুলাই থেকে সিলেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যদিও পরীক্ষা আরও পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সেখানখার শিক্ষার্থীরা।
যদিও সিলেট বাদে সারাদেশে আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আর সিলেট বাদে সারাদেশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখের কিছু বেশি। তারা বলছেন করোনাকালের শিখন ঘাটতি থাকায় তারা ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি। তাই পরীক্ষা পেছানোর দাবি তাদের।
পরীক্ষা সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। সব দিক বিবেচনায় পরীক্ষার সিলেবাস ও এই রুটিন ঠিক করা হয়েছে। তবে সিলেটের পরীক্ষা আরও পেছানো হবে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ আরও অন্তত ৬ মাস আগে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করবে বলেও আশা করেন তিনি।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। যদি অবস্থা খারাপ মনে হয় তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান বলেন, অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষা হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে থাকবে। তারা চিন্তা করবে কোন বোর্ডে কেমন প্রশ্ন হচ্ছে। এতে তারা একটু বিভ্রান্তও হবে। তাই সারাদেশে একসাথে পরীক্ষা নেয়াটাই খুব ভালো হবে। এ সময় তিনি বছরের যে সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা কম থাকে সেই সময় বিবেচনা করে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর তারিখ ঘোষণার একটি ক্যালেন্ডার করার প্রতিও জোর দেন।
তবে পরীক্ষা পেছানোর গুজবে কান না দিয়ে শেষ সময়ে ভালো মতো প্রস্তুতি নেয়ারও তাগিদ জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
/এএস
Leave a reply