বাংলাদেশকে আতিথ্য দিতে মুখিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেট বিশ্বের বড় দলগুলো আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় না, এমন একটা কথা বেশ প্রচলিত। এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়াও ছিল। কিন্তু এবার সুর বদলেছে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি দেশটি। বাংলাদেশকে তারা আতিথেয়তা দিতে মুখিয়ে আছে। এমনই জানিয়েছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।

২০০৮ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর এক যুগের বেশি সময় কেটে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ পায়নি টাইগাররা। যদিও মাঝে বাংলাদেশে এসে ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথরা খেলে গেছেন কয়েকবার। ২০১১ সালে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢাকায় এসেছিলেন মিচেল জনসনরা। বাংলাদেশের সঙ্গে অজিরা টেস্ট খেলেছে ২০১৭ সালে।

এরপর ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছিল। যদিও সেই সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল নাথান এলিস-ম্যাথু ওয়েডরা। এদিকে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার (এফটিপি) সূচি অনুযায়ী ২০২৭ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের।বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে তাই মুখিয়ে আছেন নিক হকলি।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ আমাদের পরবর্তী এফটিপি চক্রে রয়েছে। বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে আমরা মুখিয়ে আছি। ছেলেদের সফরের বর্তমান শঙ্কাটা হচ্ছে তাদের সঙ্গে কয়েক বছরের মাঝে খেলা নেই। কিন্তু আমরা সবার সঙ্গে কাজ করে যাব, সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও। দেখা যাক এফটিপিতে কী ধরনের সুযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। সে সফর নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট হকলি। তিনি বলেন, এ বছর হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে আমাদের নারী দলের দারুণ একটি সফর গেছে। নারী দল যে আতিথেয়তা পেয়েছে, সেটির দারুণ প্রশংসা করি আমরা।

আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা আছে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় ২টি টেস্ট খেলার কথা টাইগারদের।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply