মেসি পেলেন মাত্র ৬, মার্টিনেজ ১০ এ ১০, বাকিরা কত?

|

প্রথম রাউন্ড শেষে এখন চলছে কোপা আমেরিকার নকআউট পর্ব। গ্রুপগুলোর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপদের নিয়ে এই পর্বে লাতিন ফুটবলের হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখছে দর্শকরা। এই স্টেজে এসে শুক্রবার (৫ জুলাই) শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডর। নির্ধারিত সময়ে ১-১ এ ড্র হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। এমি মার্টিনেজের স্পাইডার রূপ আরেকবার উচ্ছ্বাসে ভাসায় আলবিসেলেস্তেদের। সেমিফাইনালে চলে যায় আর্জেন্টিনা।

এই ম্যাচের সার্বিক বিশ্লেষণে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় ও কোচের পারফর্ম দেখে রেটিং দিয়েছে ফুটবলভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম। প্রায় বড় ম্যাচ গুলোতেই সাইটটি এই রেটিং দিয়ে থাকে। সেখানে এই ম্যাচের সর্বোচ্চ রেটিং পেয়েছেন দলটির গোলকিপার মার্টিনেজ। তিনি পেয়েছেন ১০ এ ১০। মেসির পারফর্ম তাকে এনে দিয়েছে ৬ রেটিং পয়েন্ট। তবে কেউ ৫ এর নিচে পাননি।

আসুন দেখে নেই আলবিসেলেস্তেদের রেটিং:

কিপার ও রক্ষণভাগ

এমি মার্টিনেজ (১০/১০):

ম্যাচের প্রথমার্ধে এমি প্রতিপক্ষের কিছু কঠিন আক্রমণ সামলেছেন। এছাড়া টাইব্রেকারে দলের জয়ের নেপথ্যে বীরত্বপূর্ণ পারফর্ম করেন তিনি। সেভ করেন দুটি পেনাল্টি; যা আলবিসেলেস্তেদের নিয়ে যায় টুর্নামেন্টের শেষ চারে।

ম্যাচে সর্বোচ্চ রেটিং আসে এমি মার্টিনেজের। ১০ এ ১০।

নাহুয়েল মোলিনা (৭/১০):

প্রায় সব ট্যাকলই তিনি জিতেছেন। এছাড়া প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক মিডফিল্ডার কেন্ড্রি পায়েজকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রেখেছেন, যা আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে অনেকটা চাপই কমিয়ে দিয়েছে।


লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (৮/১০):

ম্যাচে তার পায়েই আসে আলবিসেলেস্তেদের একমাত্র গোলটি। এছাড়া ম্যাচে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ সামলেছেন বেশ শক্তভাবেই, যা ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ডদের বেশ ভুগিয়েছে।


ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (৭/১০):

তিনি বল ভালভাবে নিজের দখলে রেখেছেন। নিখুঁত ডুয়েলস করতে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া ম্যাচের শেষ দিকে সুন্দর কয়েকটি ফ্রি কিক নিয়েছেন।


নিকো তাগলিয়াফিকো (৬/১০):

দুর্দান্ত পাসিং ছিল ম্যাচজুড়ে। ইকুয়েডরের বেশিরভাগ আক্রমণ সামলেছেন এই লেফট ব্যাক।

মাঝমাঠ

রদ্রিগো ডি পল (৬/১০):

তার ডিফেন্সিভ অবস্থান এবং মিডফিল্ডে বল দখল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ম্যাক অ্যালিস্টার (৮/১০):

মাঠের মাঝখানে ছিলেন দুর্দান্ত। দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বল জুগিয়েছেন বেশ ভালোভাবে।

এনজো ফার্নান্দেজ (৫/১০):

ম্যাচের প্রথমার্ধে তিনটি ভালো সুযোগ মিস করেন এনজো। বল দখলের পাশাপাশি তা ধরে রাখা এবং রক্ষণাত্মকভাবেও বেশ দুর্বল ছিলেন। নিজের স্বাভাবিক খেলাতেও ছিলেন না এনজো।

নিকো গঞ্জালেজ (৬/১০):

বল পাসিংয়ে কিছুটা খেই হারিয়েছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে দারুণভাবে বল নিয়ে এগিয়েছেন।

আক্রমণভাগ

লিওনেল মেসি (৬/১০):

পায়ের ইনজুরিতে কিছুটা দুর্বল ছিলেন মেসি। তবে দারুণ কিছু পাস দিয়েছেন যা ম্যাচের মোমেন্টাম ও গ্যালারির আবহও ঘুরিয়ে দিয়েছে। তবে এখনও টুর্নামেন্টে তার সেরাটা দেয়া বাকি।

লিও মেসি। এখনও টুর্নামেন্টে তার সেরাটা দেয়া বাকি। রেটিং ৬/১০

লাওতারো মার্টিনেজ (৫/১০):

প্রথমার্ধে খুবই দুর্বল ছিলেন। বিরতির পরেও পাওয়া কিছু সময়ে রাঙাতে পারেননি নিজেকে।

বদলি খেলোয়াড় ও কোচ
জুলিয়ান আলভারেজ (৫/১০):

ম্যাচে বেশি সময় তাকে খেলতে হয়নি, কারণ দ্বিতীয়ার্ধে সাব হয়ে এসেছিলেন মাঠে। তবে টাইব্রেকারে একটি সুন্দর শটে লক্ষ্যভেদ করেন।

নিকোলাস ওটামেন্ডি (৮/১০): দারুণ ও উজ্জীবীত ছিলেন। টাইব্রেকারে দুর্দান্ত শট নিয়েছেন।

আলবিসেলেস্তে বস, লিওনেল স্কালোনি। ডাগআউটে ছিলেন এনার্জেটিক।

লিওনেল স্কালোনি (৭/১০):

ডাগআউটে পূর্ণাঙ্গ এনার্জেটিক ছিলেন। বদলি খেলোয়াড়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। তবে আরও সুক্ষ্মভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply