সাগরের ১০ ফুট গভীর জলে ছবি আঁকেন পিয়েতোর

|

রাশিয়ার দখলকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সুদাক শহরের বাসিন্দা পিয়েতোর দোতসেনকর। প্রচলিত পদ্ধতি ছেড়ে সাগরের ১০ ফুট গভীর জলে ছবি আঁকেন তিনি। অক্সিজেন ট্যাংক ও রঙের প্যালেট নিয়ে সমুদ্রের নিচে চলে তার এই ছবি আঁকার কাজ।

গভীর পানির নিচের পরিবেশ, সেখানে বাস করা নানা জলজ প্রাণী কিংবা পানির নিচে হারিয়ে যাওয়া সব বস্তুই তাকে ছবি আঁকার প্রেরণা দেয়। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র একজন প্রকৃত শিল্পীই পানির নিচের জগতের আসল রঙ বুঝতে পারবেন, যা অন্য সবাই ধরতে পারে না।

পানির নিচে দীর্ঘসময় ধরে ছবি আঁকার কোনো সুযোগ নেই। কারণ– প্রথমত অক্সিজেন স্বল্পতা, দ্বিতীয়ত ছবি আঁকার বিষয়বস্তুর হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তাই পিয়েতোর বেছে নিয়েছেন ‘আলা প্রিমা’ পদ্ধতি যার অর্থ ‘প্রথম চেষ্টাতেই কাজ সম্পন্ন’।

এই চিত্রশিল্পী বলেন, পানির নিচে সবকিছুই নীলচে সবুজ। কোনো কিছুর আসল রঙ চেনা কষ্টকর। সামনে যে বস্তু থাকে, তার রঙ আমার প্যালেটের সঙ্গে মিলিয়ে নেই। একজন শিল্পীর জন্য রঙের এই আলো-আঁধারি খেলা ধরাটা সহজ বলে আমার ধারণা। পানির নিচে আঁকা ছবি পানির বাইরে নিয়ে আসলেই তা উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করে। ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত।

পানির নিচে দোতসেনকারের সঙ্গে থাকেন একজন সহকারী। তার কাজ অক্সিজেনের লেভেল পর্যবেক্ষণ করা এবং নির্দিষ্ট সময় পর পানির ওপরে চলে আসার নির্দেশনা দেয়া। এই নির্ধারিত সময়ে শিল্পকর্ম শেষ করতে দোতসেনকার তুলির বদলে ব্যবহার করেন প্যালেট নাইফ।

এরই মাঝে সামাজিকমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দোতসেনকারের ছবি আঁকার ভিডিও। তার কাজ সরাসরি দেখতে রীতিমত ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনগণ।

তাদের একজন বলেন, ব্যাপারটা রোমাঞ্চকর। পানির নিচে এমন প্রদর্শনী আগে কখনও দেখিনি। ছবিগুলো খুবই উজ্জ্বল ও জীবন্ত। আরেকজনের বক্তব্য, পিয়েতোর দোতসেনকর সরাসরি পানির ১০ ফিট গভীরে যায় ও ছবি আঁকে। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। সে আসলেই পারদর্শী।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্রে পানির নিচে ছবি আঁকা শুরু করেছেন পিয়েতোর দোতসেনকর। এরইমধ্যে এঁকেছেন অনেক ছবি। জলের নিচেই সেগুলোর প্রদর্শনী করতে চান তিনি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply