কোটা বাতিলে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: ছাত্রলীগ

|

ফাইল ছবি।

২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ তুলে দেয়ার ফলে নারীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। এটি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অন্তরায়। কোটা বাতিলের ফলে নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— এমনটি দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

শনিবার (১৩ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সকল জেলায় সমন্বিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধি রয়েছে। তবে ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদেরও প্রতিনিধিত্ব কমে যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরির প্রতিটি পরীক্ষাতেই একজন পরীক্ষার্থীকে সব ধাপ পার হয়ে আসতে হয়। এক্ষেত্রে ‘কোটা না মেধা’ এই স্লোগানটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। কোটার মাধ্যমে সমাজের অনগ্রসর অংশকে কিছুটা এগিয়ে দেয়া হয়, যা পুরোপুরি ন্যায় ও সংবিধানসম্মত।

চলমান কোটা আন্দোলন ইস্যুতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। এটি বর্তমানে বিচারাধীন বিষয়। আদালতে বক্তব্য তুলে না ধরা ও চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যহত করার প্রচেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে কোটা বাতিল বা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন হচ্ছে তা পুনরায় ভাবার সুযোগ রয়েছে। এই মূহুর্তে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধান ও সংস্কার করা সবচেয়ে জরুরি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবরোধ কখনো সুষ্ঠু সমাধান আনতে পারে না। আইনি প্রক্রীয়াতেই এর চূড়ান্ত, স্থায়ী ও যৌক্তিক সমাধানের পথে এগোতে হবে।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply