ব্যুরো প্রধান, বরিশাল
বরিশালে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী সাবিহা ইসলাম অথৈকে তার বাবা-ই হত্যা করেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার একদিন পর আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন। তিনি জানান, পাওনাদারদের উপর হত্যার দায় চাপাতে পরিকল্পিতভাবে নিজ সন্তানকে হত্যা করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার কর্মচারী কাজী গোলাম মোস্তফা।
স্ত্রী সোহেলী পারভিন রুমার দায়ের করা মামলায় কাজী গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মঙ্গলবার রাতে কাউনিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন রুমা। গোলাম মোস্তফা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান কাউনিয়ার থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম কবির।
দুপুরে পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় স্থানীয় অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় গোলাম মোস্তফা। যার পরিমান ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হবে। কয়েক দিন ধরে টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছে পাওনাদাররা। পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে এবং তাদের ফাঁসাতে নিজ মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করে গোলাম মোস্তফা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নিজ কর্মস্থল সদর রোড সাউথইস্ট ব্যাংক সংলগ্ন পানির পাম্পে নিয়ে যায়। সেখানেই সাবিহাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাবা গোলাম মোস্তফা। পরে সাবধানতা অবলম্বন করে তার লাশ নিয়ে গিয়ে স্কুল সংলগ্ন লেবু বাগানে ফেলে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, উপবৃত্তির টাকার জন্য স্কুলে ছবি জমা দিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার সাপানিয়া বাসা থেকে বের হয় সাবিহা ইসলাম অথৈ। এর কয়েক ঘন্টা পর স্কুল সংলগ্ন একটি বাগান থেকে সাবিহার মরদেহ উদ্ধার হয়।
Leave a reply