রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। কিন্তু সে জন্য পেছাতে হবে তফসিল এবং মেনে নিতে হবে তাদের ৭ দফা দাবি।
আর সাত দফা দাবি মানা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন নেতারা। তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারেনা। নির্বাচনী অংশ নিতে চায় ঐক্যফ্রন্ট, কিন্তু উস্কানি যেনো না দেয়া হয়।
আজ দুপুরে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় শুরুতে একে একে বক্তব্য দেন স্থানীয় নেতারা। জনসভায় আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন তারা। ঐক্যফ্রন্টের কোন জনসভায় প্রথমবারের মতো অংশ নেন এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ।
ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সবাইকে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থেকে দাবি আদায়ের আহ্বান জানান।
জনসভায় বিএনপি নেতারা বলেন, সংলাপের কোন কথাই ক্ষমতাসীনরা মানছে না। খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা মানার আহ্বান জানান তারা।
অসুস্থতার কারণে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন যোগ দিতে পারেননি। মোবাইল ফোনে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, তড়িঘড়ি তফসিল ঘোষণা সংবিধান বিরোধী।
সংলাপে দেয়া দাবির বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচনের ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট তাদের অবস্থার স্পষ্ট করবে বলে জানান নেতারা।
Leave a reply